রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

| ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

এক সেন্টের কয়েন পেনি উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮:১৭, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

এক সেন্টের কয়েন পেনি উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের এক সেন্টের মুদ্রা পেনি। ছবি: ফাইলফটো

ব্যয় সাশ্রয় ও ডিজিটাল লেনদেনের যুগে প্রবেশের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক সেন্ট মূল্যের মুদ্রা— জনপ্রিয় ‘পেনি’— উৎপাদন বন্ধ করছে। দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে প্রচলিত এই কয়েনের শেষ ব্যাচ স্থানীয় সময় বুধবার ফিলাডেলফিয়া মিন্টে তৈরি হবে। এর মধ্য দিয়ে ১৭৯৩ সাল থেকে চলে আসা ২৩২ বছরের ঐতিহ্যের অবসান ঘটবে।

১৭৯৩ সালে প্রথমবার চালু হওয়া পেনি মার্কিন মুদ্রা ইতিহাসে এক প্রতীকী জায়গা দখল করে আছে। তবে ডিজিটাল লেনদেনের দ্রুত প্রসার, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও অপ্রয়োজনীয় মুদ্রা মজুতের কারণে পেনিকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, উৎপাদন বন্ধ হলেও প্রচলনে থাকা পেনিগুলো ব্যবহারযোগ্য থাকবে। কিন্তু নতুন উৎপাদন বন্ধের ঘোষণার পর থেকেই বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পণ্যের দাম সমন্বয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে, কারণ বাজারে এখন পেনি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে পেনি উৎপাদন বন্ধের পরিকল্পনা ঘোষণা করে বলেন,‘আমাদের দেশের বাজেট থেকে অপচয় বাদ দিতে হবে— সেটা এক পেনির হলেও।’

সরকারের হিসাব বলছে, এক সেন্টের মুদ্রা তৈরি করতে এখন খরচ হয় প্রায় ৪ সেন্ট— এক দশক আগের তুলনায় যা দ্বিগুণ। ফলে এই কয়েন উৎপাদন পুরোপুরি অলাভজনক হয়ে উঠেছে। উৎপাদন বন্ধ করলে প্রতিবছর প্রায় ৫৬ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রচলিত মুদ্রার প্রায় ৬০ শতাংশই ব্যবহারহীন ভাবে মানুষের ঘরে জমা আছে। একটি পরিবারের গড়ে ৬০ থেকে ৯০ ডলার সমমূল্যের পেনি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। বাজারে প্রয়োজনের তুলনায় মুদ্রার পরিমাণ এত বেশি যে নতুন করে উৎপাদনের প্রয়োজন নেই বলে জানায় ট্রেজারি।

পেনি না থাকায় ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রে পণ্যের দাম ‘রাউন্ড ফিগারে’ সমন্বয় করবেন। এতে মার্কিন ভোক্তাদের ওপর শিথিল হলেও বছরে প্রায় ৬ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ব্যয় চাপতে পারে বলে জানায় রিচমন্ড ফেডারেল রিজার্ভের এক বিশ্লেষণ।

পেনি বন্ধের পর এখন আলোচনা চলছে পাঁচ সেন্ট মূল্যমানের নিকেল মুদ্রা নিয়েও। এটির উৎপাদন খরচ বর্তমানে ১৪ সেন্ট, অর্থাৎ মূল্যমানের তিন গুণেরও বেশি। রিচমন্ড ফেড জানায়, নিকেল উৎপাদন বন্ধ হলে ভোক্তাদের বার্ষিক বাড়তি ব্যয় দাঁড়াতে পারে ৫৫ মিলিয়ন ডলার।
 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মিছিল
আসিফ আকবরের ‘ফুটবল বিদ্বেষী’ বক্তব্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন
বিশ্বমঞ্চের লাইমলাইট চুরি করেছেন ঐশ্বরিয়া রাই একাই…
তারেক রহমান ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত হবে
সীতাকুণ্ডে ঝোপের ভেতর পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩ পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করল র‌্যাব-৭
আমরা ইউনূসের সনদ রিজেক্ট করেছি। আমরা জনতার সনদ তৈরি করব : সেলিম
রাজধানীতে নাশকতার প্রস্তুতি, নিষিদ্ধ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
সরকার দরদ দেখিয়েছে, দায় দেখায়নি’ — নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমল, বিনিয়োগকারীদের মনে অনিশ্চয়তা
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন: ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধনের সময় ৪ সপ্তাহ
জেনেভা ক্যাম্পে গোপন কারখানা থেকে ৩৫ ককটেল উদ্ধার
কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে কয়েদির মৃত্যু
বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই নিশ্চিত করল পাকিস্তান
শয্যাশায়ী ধর্মেন্দ্রর ভিডিও ফাঁস তীব্র ক্ষোভে অমিতাভ–জয়া বচ্চন
হাসিনার রায় ঘোষণায় বিশৃঙ্খলা হলে দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর—আমির খসরু
রঙ্গনার ফুটেজ ফাঁস: ক্ষুব্ধ শাবনূর
‘তিন উপদেষ্টা সঠিক নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছেন’—অপসারণের দাবিতে ডা. তাহের
ক্যালিফোর্নিয়ার নতুন ভোটিং মানচিত্রে ‘ডেমোক্র্যাট সুবিধা’ মামলা করল ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট
একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক এরশাদ হালিম আদালতে চালান
সুদান সংকট নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ বাড়ছে, আল-ফাশির ঘটনায় তদন্তের দাবি তীব্র