‘তিন উপদেষ্টা সঠিক নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছেন’—অপসারণের দাবিতে ডা. তাহের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:১৮, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের অভিযোগ করেছেন, সরকারের তিনজন উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কাজ করছেন এবং ভুল তথ্য দিয়ে সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন।
তিনি দাবি করেন, এ তিন উপদেষ্টাই ড. ইউনূসকে ‘মিসগাইড’ করছেন। তাদের অপসারণ দাবি করে নামের তালিকাও প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আন্দোলনরত ৮ দলের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডা. তাহের।
ডা. তাহের বলেন, “প্রশাসনে ইতোমধ্যেই কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেখানে একটি বিশেষ দলের প্রতি অনুগত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আবার সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের কৃত্রিমভাবে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি দাবি করেন, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সহযোগিতায় প্রশাসনকে দলীয়করণের মাধ্যমে ভোটপরিবেশকে প্রভাবিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে—যা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ যথাযথভাবে মানা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তার ভাষায়, “বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট accommodate করার নামে গণভোটের প্রশ্ন চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে—যা জটিল, অপ্রচলিত এবং বেআইনিভাবে একটি দলকে বিশেষ সুবিধা দেয়।”
তবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকার অধ্যাদেশ না দিয়ে আদেশ জারি করায় তিনি সরকারকে সাধুবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টার যুক্তি—গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে ‘সাশ্রয়ী’ হবে—এই বক্তব্যকে ‘খোঁড়া’ বলে মন্তব্য করেন ডা. তাহের। তার মতে, “যদি একই দিনে দুটি আয়োজন হয়, তাহলে গণভোটের গুরুত্ব কমে যাবে, মূল সংস্কার ইস্যুও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।”
তিনি আবারও দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন—গণভোট আলাদা দিনে আয়োজন করে তার রায়ের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন করা উচিত।
