ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন:
‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধনের সময় ৪ সপ্তাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৩৫, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ। ছবি: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রবাসী ভোটার, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইন হেফাজতে থাকা ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ‘আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট’ পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে ইসির তৈরি বিশেষ অ্যাপ ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ উদ্বোধন হবে আগামী ১৮ নভেম্বর। অ্যাপ উদ্বোধনের পর চার সপ্তাহ চলবে ভোটদানে নিবন্ধন কার্যক্রম।
ইসি কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ স্বাক্ষরিত ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই)’ প্রকল্পের সভার কার্যবিবরণীতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কার্যবিবরণী অনুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ব্যক্তি এবং আইন হেফাজতে থাকা ভোটারদের জন্য পোস্টাল ভোটিংয়ের আইন, বিধি ও পরিপত্র এমনভাবে প্রণয়ন করা হবে, যাতে প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে আইনি জটিলতামুক্ত থাকে।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৬ নভেম্বরের মধ্যে অ্যাপটির যাচাই-বাছাই ও টেস্ট সম্পন্ন করে ‘স্থিতিশীল সংস্করণ’ প্রকাশ করা হবে। ১৬ নভেম্বর থেকেই ইসিতে নিবন্ধন কার্যক্রম সরাসরি প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। অ্যাপ সম্পর্কে দেশে ও বিদেশে চলবে প্রচারণা, যা চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু ১ ডিসেম্বর
কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে—২৩ নভেম্বর শুরু হবে পোস্টাল ব্যালট পার্সোনালাইজেশনের কাজ।
১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে পাঠানো হবে পোস্টাল ব্যালট।
বিদেশ থেকে ভোট ফেরত আসা শুরু হতে পারে আগামী বছরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে সব পোস্টাল ব্যালট পৌঁছাবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।
নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য তফসিল ঘোষণার আগেই প্রস্তুতকৃত প্যানেলের সদস্যরা নিবন্ধনের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। এ জন্য ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পোলিং পারসোনালদের ডেটাবেইস প্রস্তুত করে ওসিভি-এসডিআই প্রকল্পে জমা দিতে হবে।
ইসি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ প্রবাসী ও অভ্যন্তরীণ ভোটারকে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে। নিবন্ধনের অগ্রগতি দেখে ধাপে ধাপে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৫০ লাখ ভোটার পর্যন্ত নেওয়া হবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজন হবে আনুমানিক ৩৫০ কোটি টাকা। যেহেতু ওসিভি-এসডিআই প্রকল্পে এ বরাদ্দ নেই, তাই নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ-২ দ্রুত বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তাদের জন্য ১৪০টি কিউআর কোড রিডার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
