সুদান সংকট নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ বাড়ছে
আল-ফাশির ঘটনায় তদন্তের দাবি তীব্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:৪৭, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
সুদানের দারফুরের কৌশলগত নগরী আল-ফাশির দখলের পর মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। ছবি: এএফপি
সুদানের দারফুরের কৌশলগত নগরী আল-ফাশির দখলের পর মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ওই এলাকার গণহত্যা, সংগঠিত ধর্ষণ, জাতিগত নিধন এবং ড্রোন হামলায় বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির অভিযোগে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) জরুরি অধিবেশন ডেকেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ।
এই অধিবেশনে আল-ফাশিরে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নৃশংসতার তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পাঠানোর অনুরোধ বিবেচনা করা হবে। খসড়া প্রস্তাবে স্পষ্ট বলা হয়েছে—দায়ীদের শনাক্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি।
অধিবেশনের উদ্বোধনে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন— “অনেকে বলেছেন, অনেক কিছু করেছেন, কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। একটি জনগোষ্ঠীকে যে ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে দমন করা হচ্ছে—এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এখনই জরুরি।”
তিনি আরও সতর্ক করেন—সুদানের অভ্যন্তরে ও কর্দোফান অঞ্চলে বোমাবর্ষণ, অবরোধ ও জোরপূর্বক উচ্ছেদ নতুন করে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
২৬ অক্টোবর আল-ফাশির র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)-এর দখলে যায়। এর মধ্য দিয়ে দারফুরে আধাসামরিক এই বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত হয়। সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আড়াই বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে এটি আরএসএফের সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ফাইলড রিপোর্ট অনুযায়ী—
নারীরা গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছেন
বেসামরিক মানুষ ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে
অসংখ্য মানুষকে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে গুলি করা হয়েছে
খসড়া প্রস্তাবে এসব অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
একাধিক মানবাধিকার সংস্থা আরএসএফকে সমর্থন করা সম্ভাব্য বিদেশি পক্ষের ভূমিকা তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। তবে খসড়া প্রস্তাবে সেই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
আল-ফাশিরসহ দারফুরের অনেক এলাকা বর্তমানে দুর্ভিক্ষের মুখে। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আরএসএফ ও সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী
উভয় পক্ষকে অবিলম্বে বহুলোক-আটকে থাকা দুর্গত এলাকার ভেতরে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দিতে হবে।
