ইস্পাহানে নবীজিকে নিয়ে আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: এবিএনএ
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মের দেড় হাজার বছর পূর্তি উপলক্ষে ইরানের ইস্পাহানে আয়োজন করা হয়েছে ‘রহমতের নবী আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব’। চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত। এতে ২৫ দেশের কবিরা প্রায় দেড় হাজার কবিতা জমা দিয়েছেন। মুসলিম বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশের কবিদের অংশগ্রহণে উৎসবটি ঝাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইসলামিক কালচার অ্যান্ড রিলেশনস অর্গানাইজেশনের (আইসিআরও) সাংস্কৃতিক সহযোগিতা উন্নয়ন বিভাগের উপপরিচালক হুসাইন দিবসালার জানান, উৎসবটি আয়োজন করেছে আইসিআরও। এতে সহযোগিতা করেছে কুয়েতের ইব্রাহিম ইনস্টিটিউট, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কুয়েতে ইরান দূতাবাস, ইস্পাহান প্রাদেশিক সরকার এবং ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় ইস্পাহান (খোরাসগান শাখা)।
হুসাইন দিবসালার বলেন, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি এ বছরকে ‘রহমতের নবী বর্ষ’ ঘোষণা করেছে ইরানের প্রস্তাবের ভিত্তিতে। নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর নৈতিক ও মানবিক শিক্ষা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরাই এই উৎসবের মূল লক্ষ্য।
প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফারসি ও আরবি ভাষায়। ইরান, কুয়েত, ইরাক, তাজিকিস্তান, ওমান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান, মিসর, ফিলিস্তিন, লিবিয়া, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, নাইজেরিয়া, তুরস্ক, সুইডেন, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের কবিরা এতে অংশ নিয়েছেন।
কবিতাগুলোর মূল বিষয়বস্তু ছিল নবীজির চরিত্র ও নৈতিক শিক্ষা, বিশ্বমানবতার প্রতি তার রহমত, শান্তি ও ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত, মানবতার পথনির্দেশ, মুসলিম ঐক্য, নিপীড়িতের পক্ষে অবস্থান এবং তার রেখে যাওয়া ন্যায় কেন্দ্রিক ঐতিহ্য।
দিবসালার জানান, জমা পড়া কবিতার মধ্য থেকে ১২ জন বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। ছয়জন ফারসি ভাষায় এবং ছয়জন আরবিতে রচিত কবিতার জন্য।
আগামী সোমবার ইসফাহানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান। সেখানে ফারসি ও আরবি ভাষায় দুটো কবিতার সংকলন প্রকাশ করা হবে।
উৎসবের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক আলিরেজা কাজভে জানান, মোট ৯০০ ফারসি কবিতা জমা পড়েছে, যার অর্ধেকের বেশি প্রকাশযোগ্য। তিনি বলেন, এত সমৃদ্ধ অংশগ্রহণের ফল হিসেবে ২৫০ পৃষ্ঠার ফারসি এবং ৩৫০ পৃষ্ঠার আরবি কবিতার দুটি বই প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিজ্ঞ ও নবীন, দুই ধরনের কবিই এতে অংশ নিয়েছেন। আরবি কবিতার বেশিরভাগই কাসিদা আকারে এবং ফারসিগুলো মূলত গজল।
তিনি আরও জানান, নির্বাচিত কবিতাগুলো ভবিষ্যতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন ও শিল্পসম্মত প্রযোজনায় ব্যবহৃত হতে পারে।
সূত্র: এবিএনএ
