জীবনযাপন

মোবাইল ফোনে ঘাড় গুঁজে থাকা, ক্লাসরুমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একইভাবে বসে থাকা, কিংবা খেলাধুলার আগে শরীর গরম না করা—এই সব অভ্যাসই কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য হয়ে উঠছে মারাত্মক বিপদসংকেত। 

আজকের যুগে ‘যৌবন ধরে রাখা’র আকাঙ্ক্ষা যেন সীমাহীন। এক সময় যেখানে ফেসলিফট ছিল ধনীদের মধ্যবয়সী রূপসন্ধানীদের জন্য, এখন তা ছড়িয়ে পড়ছে তরুণ প্রজন্মের মাঝেও। ২০-এর ঘরে পা রাখা অনেক তরুণ-তরুণীই ছুরি-কাঁচির নিচে মুখের গড়ন বদলে ফেলছেন নতুন সৌন্দর্যের সংজ্ঞায়।

ডায়াবেটিস মেলিটাস, বিশেষ করে টাইপ–২ ডায়াবেটিস, বর্তমানে সারা বিশ্বে এক গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং এ সংখ্যা আগামী কয়েক দশকের মধ্যে আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ডায়াবেটিসের রোগীদের নিয়মিত রক্তের শর্করা পরিমাপ করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হলো—দিনের কোন সময়টি সবচেয়ে উপযুক্ত? চিকিৎসকদের মতে, খালি পেটে (ফাস্টিং ব্লাড সুগার) মাপাই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।

তাড়াতাড়ি দিনের শুরু আপনার শরীর, মন এবং কর্মক্ষমতা—সবকিছুরই উন্নতি ঘটাবে।

যদি এক মাসের জন্য ফোন পুরোপুরি ব্যবহার বন্ধ করে দেন, তাহলে কী হবে?

বয়স চল্লিশ পেরোতেই হাড়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যায়—বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে। অধিকাংশ মানুষই ধরে নেন, প্রতিদিন একটি ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেলেই হাড়ের ক্ষয়রোধ সম্ভব। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, বিষয়টা এত সহজ নয়। হাড় মজবুত রাখতে হলে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি দরকার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, নিয়মিত শরীরচর্চা, আর স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।

কুকুর-বিড়াল আমাদের প্রিয় সঙ্গী হলেও শিশুদের জন্য কিছু সংক্রমণ বিপজ্জনক হতে পারে। সচেতন থাকলেই মিলবে সমাধান।

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অল্প ঘুম, মানসিক চাপ ও শরীরচর্চার অভাবে অল্প বয়সেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে শরীর কিছু সতর্ক সংকেত পাঠায়। কিন্তু সমস্যা হলো—এই ইঙ্গিতগুলো বেশিরভাগ মানুষই ভুলভাবে হজমের সমস্যা, গ্যাস বা ক্লান্তি ভেবে উপেক্ষা করেন। অথচ সময়মতো চিনে ফেললে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

পোশাকের সঙ্গে মানানসই চোখের কাজল, গাঢ় লিপস্টিক, আর মুখজুড়ে নিখুঁত রূপটান—বাঙালি মেয়েদের সাজের অংশ হয়ে উঠেছে মেকআপ। বিশেষ করে কোনো অনুষ্ঠানে মেকআপ ছাড়া ভাবাই যায় না! কিন্তু যতটা যত্ন নিয়ে মেকআপ করা হয়, তুলতে গিয়ে দেখা যায় একেবারেই উল্টো আচরণ—অলসতা বা অবহেলা। আর এখানেই লুকিয়ে আছে ত্বকের বড় ক্ষতি।

ঠান্ডা লাগলে সর্দি বা কফ হওয়া সাধারণ ঘটনা। কিন্তু নাক দিয়ে বেরনো শ্লেষ্মা শুধু বিরক্তিকর নয়, এটি শরীরের ভেতরের অসুখ-বিসুখেরও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। চিকিৎসকদের মতে, কফের রঙের পরিবর্তন অনেক সময় সংক্রমণের ধরন বা শারীরিক অবস্থার ইঙ্গিত দেয়।