শুধু বুকে ব্যথা নয়
এই ৫টি নীরব লক্ষণেও লুকিয়ে থাকতে পারে হার্ট অ্যাটাকের বিপদ
প্রকাশ: ১৭:৪৪, ৯ অক্টোবর ২০২৫

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অল্প ঘুম, মানসিক চাপ ও শরীরচর্চার অভাবে অল্প বয়সেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে শরীর কিছু সতর্ক সংকেত পাঠায়। কিন্তু সমস্যা হলো—এই ইঙ্গিতগুলো বেশিরভাগ মানুষই ভুলভাবে হজমের সমস্যা, গ্যাস বা ক্লান্তি ভেবে উপেক্ষা করেন। অথচ সময়মতো চিনে ফেললে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।
বুকের ব্যথা না থাকলেও যে লক্ষণগুলো হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস দিতে পারে:
১. অস্বাভাবিক ক্লান্তি ও অবসাদ:
হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করলে এবং বিশ্রামেও তা না কমলে, এটি হার্টে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি অন্যতম প্রধান সতর্ক সংকেত।
২. শ্বাসকষ্ট বা হাঁপ ধরা:
সিঁড়ি ওঠা বা অল্প পরিশ্রমেই যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বা বুকে চাপ লাগে—তাহলে এটি হৃদযন্ত্রের দুর্বল কার্যকারিতা বা অক্সিজেন ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
৩. গ্যাস, বদহজম বা বমি ভাব:
অনেকে পেট ফাঁপা বা অ্যাসিডিটি মনে করলেও, এটি হার্টে রক্তপ্রবাহে বাধার লক্ষণ হতে পারে। বমি ভাব বা বুক ভার লাগা—এগুলোও ‘নীরব হার্ট অ্যাটাক’-এর প্রাথমিক ইঙ্গিত।
৪. চোয়াল, গলা, কাঁধ বা পিঠে ব্যথা:
সব হার্ট অ্যাটাকেই বুকের ব্যথা হয় না। অনেক সময় ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে বাম কাঁধ, গলা বা উপরের পিঠে। বিশেষ করে বাম দিকের ব্যথা কখনোই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।
৫. ঘাম, মাথা ঘোরা বা অস্বস্তি:
বিনা পরিশ্রমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, মাথা ঘোরা বা মৃদু অজ্ঞান ভাব—এসবও হৃদরোগের পূর্বাভাস হতে পারে।
কীভাবে থাকবেন সতর্ক
হঠাৎ ক্লান্তি বা বুক ভার লাগলে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম নিন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ধূমপান, অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করুন।
ওজন, কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম ও সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।
“হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক ইঙ্গিতগুলো উপেক্ষা করা মানে বিপদ ডেকে আনা,” বলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাই ‘বুক ব্যথা নেই’ ভেবে নিশ্চিন্ত না থেকে শরীরের অন্য অস্বাভাবিক ইঙ্গিতগুলোকেও গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।