মুনির-তপন-জুয়েলের খুনিরা অপরাধ তামাদি হয়নি
৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:২১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

১৯৮৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাসদ ছাত্রলীগের নেতা মুনির-ই-কিবরিয়া (মুনির), তপন জ্যোতি দে ও এনামুল হক জুয়েলকে হত্যা করা হয়। আজ বুধবার জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে তাদের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। এতে বক্তারা দাবি করেন—জামাত-শিবিরের এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের খুনিরা এখনও বিচারের মুখোমুখি হয়নি এবং তাদের অপরাধ তামাদি হয়নি।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, ঢাকা — জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে আজ দুপুরে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় দলের সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতারা, রাজনীতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা মোঃ আনোয়ারুল হক, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা রিপাবলিক বনাম সামরিক শাসনের সময়কালের রাজনৈতিক সহিংসতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিদের দৃষ্টান্তহীন বর্বরতা উল্লেখ করে বলেন, ১৯৮৮ সালের ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে মৌলবাদী ও জঙ্গীবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল। তারা বলেন, সেই ঘৃণ্য অপরাধের দায়ীদের অনেকেই আজ রাজনীতিতে সক্রিয় ও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত—চেয়েও যেন এখনো পুরোপুরি আইনসম্মতভাবে বিচারের মুখোমুখি হয়নি।
সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারের বংশধর ও ধর্মান্ধ চক্র আজও দেশের সংবিধানবাদী এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে সুষ্ঠু বিচার, নিরপেক্ষ তদন্ত ও ঐতিহাসিক অপরাধের দায়ীদের আইনি আওতায় আনার দাবি জানান। পরে এক সংক্ষিপ্ত দোয়া ও ফুল-মাল্যদান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় জোর দেওয়া হয় যে, ইতিহাসে কলঙ্কিত থাকবার মতো এসব হত্যাকাণ্ড জাতির কাছে উপেক্ষিত রাখার উপায় নেই; ন্যায়বিচার নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত সমাজিক ক্ষত সারবে না। বিভাগীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে তৎকালীন ঘটনার সাক্ষী, দলীয় নথি ও এলাকাবাসীর স্মৃতি সংরক্ষণের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত অনিবার্য বলে নেতারা মন্তব্য করেন।