মতামত

গুলশান-বনানীর রেস্টুরেন্টগুলো কড়াইল বস্তির বাসিন্দাদের জন্য অন্তত একবেলা ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে। একবেলা দিলেই দুই বেলা হয়ে যাবে।

ইতিমধ্যেই সাংস্কৃতিক জগতের একটি বিশাল অংশ এই দেশ ছেড়ে চলে গেছে। সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল মানুষদের এই ড্রেইন বেশ অনেক বছর ধরেই চলছে। এর ফলে দেশে এখন সাংস্কৃতিক খরা চলছে, প্রকৃত বুদ্ধিজীবীদের খরা চলছে।

বাউল বা মারেফতি ঘরানার ওপর আক্রমণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সহিংস উপায়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার ঘটনাগুলো আসলে কী? এর সামাজিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য কী? এগুলো হচ্ছে একটি ব্রডার ‘কালচারাল জেনোসাইড’ বা সাংস্কৃতিক গণহত্যার অংশ।

দেশের বন্দরগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির রক্তপ্রবাহ হিসেবে পরিচিত। গত কয়েক দশকে অর্থনীতির যে উত্থান ও প্রসার, তার নেপথ্যে বড় ভূমিকা রাখছে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বন্দর।

রাজনৈতিক কর্মসূচিকেন্দ্রিক অস্থিরতা নেই দেশে, তবু সামরিক-বেসামরিক বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে খোদ ঢাকাকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। তাই, নির্বাচনের সময়ে কী হবে? 

এরা জানে না, পৃথিবীর বহু খ্যাতিমান ব্যক্তি আছেন, যারা নিয়মিত স্কুল-কলেজে পড়ার সুযোগ পাননি বা খুব অল্প বয়সেই শিক্ষা জীবন থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। তবুও তাদের অদম্য ইচ্ছাশক্তি, কৌতূহল এবং ধারাবাহিক পরিশ্রম তাদের বিশ্বমঞ্চে আলাদা করে তুলেছে।

সব পেশাকেই শিক্ষার্থীরা সম্মানজনক হিসেবে বরণ করে নিতে চাইবে। এভাবে আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু চাকরির পরীক্ষা ঠিকভাবে দিতে চেয়ে রাস্তাঘাটে মার খাবে, নিজের দেহে আগুন লাগিয়ে দিতে চাইবে! এসব দৃশ্য দেখে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। আমার এই চাওয়া বাস্তবায়ন সম্ভব তবে অনেক কঠিন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টে বিধান হচ্ছে, এই আইনের অধীনে মামলার রায় দেওয়ার দিনেই পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি বাদী এবং বিবাদী পক্ষকে সরবরাহ করতে হবে। শেখ হাসিনার মামলার রায় হয়েছে ১৭ নভেম্বর। বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান জানাচ্ছেন, এখনো কোনো পক্ষই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পায়নি। 

গণমাধ্যমের একটি করপোরেট হাউজে বেতন বন্ধ তিন মাস ধরে। সাবেক এক সহকর্মী নিরুপায় হয়ে যোগ দিয়েছেন আরেক হাউজে। তবে প্রচণ্ড রকম আর্থিক চাপ সামলাতে না পেরে গেল রাতে স্ট্রোক করেছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর কয়েকটি ব্লক ধরা পড়েছে।

ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে বিযুক্ত করাই হচ্ছে বিকাশের পক্ষে প্রগতিশীল পদক্ষেপ। এটা সমাজবিকাশের বৈশিষ্ট্য এবং পৃথিবীতে এই কাজ হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। ফরাসি বিপ্লব প্রথম পদক্ষেপ।

যে দলটির চরিত্রে অসাম্প্রদায়িক চেতনা লেগেছিল, সেই দলটি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে এই চেতনাটির যত্ন নিতে পারেনি, ফলশ্রুতিতে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান হলেও দলটি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ধারণা থেকে যোজন যোজন দূরত্বে পিছিয়ে পড়ে। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বললেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো সাংবাদিকদের পকেটে নিতে চায় না, কিন্তু সাংবাদিকরা নিজেরাই পকেটে ঢুকে যায়।’ এই কথা কিন্তু লেখক-বুদ্ধিজীবীদের ক্ষেত্রেও সত্য। সত্য এই অর্থে, রাজনৈতিক দলগুলো নিতে চায় কিনা জানি না, কিন্তু এরা নিজেরাই মাথা ঢুকিয়ে বসে থাকে।