তিনধাপে চেক করা হচ্ছে, কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:৩২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোট প্রদানের পর আঙুলের কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ বলছে, এতে জাল ভোটের কোনো সুযোগ নেই। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দ্রোহ পর্ষদ, দুপুর ১২টায় ছাত্রদল এবং সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের পক্ষ থেকে ভোটের কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। ছাত্রদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, “নির্বাচন কমিশন বারবার অমোচনীয় কালি ব্যবহারের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। প্রশাসন ইতিমধ্যে দায় স্বীকার করেছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।”
তবে ভোটারদের কেউ কেউ বিষয়টিকে তেমন গুরুতর মনে করছেন না। মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ওমর হাসনাত ছিদ্দিক তন্ময় বলেন, “আমার হাতের কালি মুছে গেলেও সমস্যা মনে করি না। কারণ ভোটার তালিকায় ছবি দেখে, নাম মিলিয়ে ও স্বাক্ষর নেওয়ার পরই ভোট দেওয়া যাচ্ছে। ফলে একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার ভোট দিতে পারবে না।”
অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, “অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে বাংলাদেশে এর চেয়ে ভালো কালি পাওয়া যায় না—বিদেশ থেকে আনতে হয়। তারপরও তিন ধাপে ভোটার যাচাই করা হচ্ছে—প্রথমে ভোটারের সিরিয়াল নম্বর, পরে আইডি নম্বর, এবং শেষে নাম ও ছবি মিলিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। তাই কেউ দ্বিতীয়বার ভোট দিতে পারবে না।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ দেখা গেছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিকেল পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।