হাসিনা-জয়-পুতুলের প্লট দুর্নীতিতে ১২ জনের জবানবন্দি আদালতে
প্রকাশ: ১৬:৪৬, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট বরাদ্দের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতির মামলাগুলিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১২ জন সাক্ষী।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।
সাক্ষ্যদাতাদের মধ্যে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের পরিচালক-২ আল মামুন মিয়া, রাজউকের উপসচিব তানজিল্লুর রহমান, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক জাকির হোসেন, সাব-রেজিস্টার মাহবুবুর রহমান ও জাহিদুর রহমান প্রমুখ।
তিনটি মামলার মধ্যে শেখ হাসিনার মামলায় পাঁচজন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মামলায় পাঁচজন এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের মামলায় দুইজন সাক্ষ্য দেন। এ সাক্ষ্যদাতারা তিন মামলাতেই ঘুরেফিরে সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষ থেকে কোনো জেরা হয়নি।
এর আগে গত ১১ আগস্ট প্রথম দফায় তিন মামলার বাদীরা সাক্ষ্য দেন। পরবর্তী সময়ে ২৬ আগস্ট ১৭ জন, ২ সেপ্টেম্বর ১৮ জন, ১৭ সেপ্টেম্বর ১০ জন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই দুটি পৃথক আদালতে ছয়টি মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরিবারের সাত সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চলতি বছরের জানুয়ারিতে পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকার সময় শেখ হাসিনা ও
তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তায় ৬টি প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ নেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এসব বরাদ্দের জন্য তারা যোগ্য ছিলেন না, তবুও অসৎ উদ্দেশ্যে এই সুবিধা গ্রহণ করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও কয়েকজনকে।
সব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।