বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

| ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চালিয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮:০৯, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৫৪, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চালিয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যার মামলার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না—এ কথা স্পষ্ট করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। গত মঙ্গলবার কেপটাউনের পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। 

রামাফোসা বলেন, “যে শান্তি চুক্তি হয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান মামলার ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না। এই মামলা এখন এমন অবস্থায় রয়েছে যেখানে ইসরায়েলকে আমাদের আবেদনের জবাব দিতে হবে। আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে তারা আদালতে নিজেদের অবস্থান উপস্থাপন করবে।”

দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকায় গণহত্যার অভিযোগ এনে আইসিজেতে মামলা  করে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে দেশটি আদালতে ৫০০ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত আবেদন জমা দেয়। সেই আবেদনের জবাব দিতে ইসরাইলকে ১২ জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এরপর মৌখিক শুনানি হবে ২০২৭ সালে এবং চূড়ান্ত রায় ২০২৭ সালের শেষ দিকে বা ২০২৮ সালের প্রথম দিকে ঘোষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ পর্যন্ত আইসিজে তিনটি অস্থায়ী নির্দেশ জারি করেছে। এতে ইসরায়েলকে গাজায় মানবিক সহায়তা অবাধে প্রবেশ করতে দেওয়া, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং গণহত্যা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এসব নির্দেশ মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অন্তত ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়েছে এবং হাসপাতালসহ বেশিরভাগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা মনে করি, যুদ্ধবিরতি যেমন জরুরি, তেমনি ন্যায়বিচারও অপরিহার্য। যারা গণহত্যার শিকার হয়েছে, তাদের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

জাতিসংঘের অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ ‘এক্স’ (আগের টুইটার)-এ এক প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, “ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা, ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের নিশ্চয়তা ছাড়া শান্তি কখনো টেকসই হয় না।”

সূত্র: আল-জাজিরা

সম্পর্কিত বিষয়:

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে বসছে ঐকমত্য কমিশন
আমি নিজেই পিআর বুঝি না : মির্জা ফখরুল
অক্টোবরে বাড়ছে ট্রিপ সংখ্যা রবিবার থেকে ১ ঘন্টা বেশি চলবে মেট্রোরেল
সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে সই করবে : আইন উপদেষ্টা
ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ অবরোধ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
পুয়ের্তো রিকোর জালে মেসির আর্জেন্টিনার ৬ গোল
স্বাক্ষরবিহীন ব্যালট পেপার বিতর্কে তোলপাড়
চাকসু নির্বাচন অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ
রোম সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
মিরপুরের আগুন গার্মেন্টসের দ্বিতীয় তলা থেকে ৯ জনের লাশ উদ্ধার
হাসিনাকে ফেরাতে রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনিসিপিকে প্রতীক নিতে হবে
শিশুদের জন্য বিপজ্জনক ভারতের ৩ কফ সিরাপ : ডব্লিউএইচও
আগামী রবিবার থেকে মাসব্যাপী শিশু-কিশোরদের বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকাদান শুরু