খালেদা জিয়াকে নেওয়ার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামার অনুমতি পেল মঙ্গলবার সকালে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০১:৩৮, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
বেবিচক। গ্রাফিক্স: সমাজকাল
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়ার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার অনুমতি পেয়েছে। চাইলে রাত ৯টায় ঢাকা ত্যাগ করতে পারবে অ্যাম্বুলেন্সটি।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানান।
এই কর্মকর্তা বলেন, জার্মানভিত্তিক এয়ারলাইনস এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপ শনিবার তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ঢাকায় নামার সময়সূচি চেয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সকে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় নামার সূচি দেওয়া হয়েছে। সেটি চাইলে সেদিন রাত ৯টায় ঢাকা ত্যাগ করতে পারবে। আপাতত এই সময়সূচি তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসা ও বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে লন্ডনের পথে রওনা হওয়ার পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা ও মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতার আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার শুক্রবার ভোরের দিকে লন্ডনের পথে রওনা হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল দলের পক্ষ থেকে। পরে ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে’ সেই অ্যাম্বুলেন্স আসতে বিলম্ব হওয়ার কথা জানায় দলটি।
এরপর শুক্রবার বলা হয়, কাতার আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আর আসছে না। সেটির বদলে কাতারের আমির জার্মানি থেকে ভাড়া করে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবেন।
সেই অ্যাম্বুলেন্স কবে আসবে কিংবা খালেদা জিয়াকে কবে লন্ডনে নেওয়া হবে, তা বিএনপির তরফে এখনও জানানো হয়নি।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তরফে শনিবার বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন এখনো বিমানযাত্রার সক্ষমতা অর্জন করেননি। সেজন্যই তার লন্ডনযাত্রা বিলম্ব হচ্ছে।
তবে খালেদা জিয়া ৯-১০ ডিসেম্বরের দিকে সেই সক্ষমতা ‘অর্জন করতেও পারেন’ বলে আভাস দেন এক চিকিৎসক। এরকম আভাসের মধ্যেই ৯ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকায় আসার আবেদনের খবর এলো।
ঢাকায় কাতার দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, জার্মানির নুরেমবার্গভিত্তিক ‘এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপের’ কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। এটি বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার (সিএল-৬০) সিরিজের দুই ইঞ্জিনের জেট উড়োজাহাজ। এতে অ্যাম্বুলেন্সের যাবতীয় সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।
সিরিয়াল নম্বর বলছে, উড়োজাহাজটি প্রস্তুতকারক কোম্পানি থেকে সরবরাহ করা হয়েছে ২০১৮ সালে।
ইউরোপের বিজনেস জেট, ভিআইপি চার্টার উড়োজাহাজ ও এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সেবাদানকারী কোম্পানি এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তাদের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ভেন্টিলেটর, মনিটরিং ইউনিট, ইনফিউশন পাম্প, অক্সিজেন সরবরাহ, ওষুধপত্র এবং চিকিৎসা সামগ্রীসহ অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে।
উড়োজাহাজটিতে থাকবেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকস, যারা আকাশপথে নেওয়া রোগীদের নিবিড় পরিচর্যার বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান রাখেন।
এর আগে গেল জানুয়ারিতে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান খালেদা জিয়া। সেবার তিনি গিয়েছিলেন কাতারের আমিরের ব্যক্তিগত বহরের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে।
