জলবায়ু ও পরিবেশ

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও পাকিস্তানের করাচি–লাহোর প্রায় এক মাস ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরীর তালিকায় শীর্ষ অবস্থান দখল করে আছে। বিশেষ করে নয়াদিল্লিতে বায়ুদূষণ এত ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে প্রশাসন কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি ঘটিয়ে দূষণ কমানোর উদ্যোগ নেয়।

চার হাজার কিলোমিটার দূরের অগ্ন্যুৎপাতের ছাপ দেখা গেল দিল্লির আকাশেও, বিশেষ সতর্কতা জারি বিমান চলাচলে

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আর দক্ষিণ আন্দামান সাগরের লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রাজধানী ঢাকায় আজ দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। যদিও আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকবে, সারাদিন আবহাওয়া প্রধানত শুষ্কই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ আবারও আশঙ্কাজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পরিমাপকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর দাঁড়িয়েছে ২৩৪। বিশ্ব দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। এই স্কোর ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

গত কয়েক দিন ধরেই ভোরের দিকে শীত অনুভূত হচ্ছে। ‘শীত শীত ভাব’ থাকছে সকালেও। ফাঁকা মাঠে সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ছে। কুয়াশা দেখা দিচ্ছে ভোরের দিকেও।

দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপ, পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

শুক্রবারের (২১ নভেম্বর) ভৃমিকম্পে নিহত ও আহত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিম–উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

১৯০০ সালে আধুনিক ভূকম্পবিজ্ঞানের শুরুর দিক থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ভূমিকম্প রাশিয়ার উপকূলে হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিল। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল ১৯৬০ সালের চিলির ভালডিভিয়া ভূমিকম্প, যেটির মাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) অনুযায়ী, এতে ১ হাজার ৬৫৫ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।