শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

সুরমা ও কুশিয়ারার পানি ৩ পয়েন্টে বিপদসীমা ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১:০৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২১:২৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুরমা ও কুশিয়ারার পানি ৩ পয়েন্টে বিপদসীমা ছাড়াল

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট অঞ্চলের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তিনটি স্টেশনে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর কানাইঘাট (সিলেট) পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ (সিলেট) পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ (সিলেট) পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।


বৃষ্টিপাত ও পূর্বাভাস:

আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি উজানে ভারতের মেঘালয়, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও অরুণাচল প্রদেশেও প্রবল বর্ষণ হয়েছে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় (১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। একই সময়ে ভারতের মেঘালয়, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, বিহার ও ত্রিপুরা প্রদেশেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত থাকতে পারে।

রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে প্লাবনের শঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল ঝুঁকিতে রয়েছে।

সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী, সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, ভুগাই, কংস ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে, ফলে নেত্রকোনা ও শেরপুরেও পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি আগামী পাঁচ দিন বাড়লেও বিপদসীমার নিচে থাকবে।

গঙ্গা নদীর পানি আগামী দুই দিন স্থিতিশীল থেকে পরবর্তী তিন দিন কমবে।

পদ্মা নদীর পানি পাঁচ দিন ধরে বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হবে।

অন্যান্য নদ-নদীর মধ্যে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মহানন্দা, করতোয়া, আত্রাই, টাঙ্গনসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানি একদিন বাড়লেও পরে স্থিতিশীল থাকবে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃষ্টি কমলে পানি সমতলও ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে। তবে আগামী কয়েকদিন পাহাড়ি ঢল ও উজানের বৃষ্টির কারণে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন