শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় নিহত অন্তত ৭৮

সমাজকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩:৪৩, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০১:৪০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় নিহত অন্তত ৭৮

সুদানের দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশের শহরের একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ২০ জন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

শুক্রবার ভোরের প্রার্থনা চলাকালে হামলাটি চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, নামাজরত অবস্থায় হঠাৎ ড্রোন হামলায় পুরো মসজিদটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এখনো ধ্বংসাবশেষের নিচে আরও অনেক মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-কে দায়ী করা হচ্ছে। তবে আরএসএফ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেনি।

সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। বর্তমানে আল-ফাশের শহরটি সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, আরএসএফ ধীরে ধীরে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

আল-ফাশের শহরে তিন লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়ে আছেন। সাম্প্রতিক সময়ে শহরের বাইরে অবস্থিত বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে ভয়াবহ হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব (এইচআরএল)-এর স্যাটেলাইট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওই শিবিরের বড় অংশ আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো আশঙ্কা করছে, সাধারণ নাগরিকরা জাতিগত নিপীড়নের শিকার হতে পারেন। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ-আরব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আরএসএফ জাতিগত নির্মূলনীতি চালাচ্ছে। এমনকি আন্তর্জাতিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, আরএসএফ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে তারা আল-ফাশেরকে অ-আরব জনগোষ্ঠীমুক্ত করতে চায়। যদিও আরএসএফ বারবার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, সুদানের এই সংঘাত ক্রমেই জাতিগত রূপ নিচ্ছে। উভয় পক্ষই প্রতিপক্ষকে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন