দুই কোটিতে ড্রাগন সাজলো যুবতী
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:৩৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সৌন্দর্য নিয়ে মোটেই খুশি ছিলো না এক যুবতী। আয়নায় নিজের চেহারা দেখতো, আর নিজেকে ঘৃণা করতো। সবসময় ভাবতো কীভাবে দেখতে আকর্ষণীয় হওয়া যায়, যাতে মানুষ তাকে দেখে অপলক তাকিয়ে থাকে।
সত্যি-সত্যিই সে একদিন নিজেকে পাল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলো। অনেক ভেবেচিন্তে হতে চাইলো কিশোরি ড্রাগন। তার এই স্বপ্নপূরণে খরচ করলো দুই কোটি টাকা।
ডেইলি মেইল জানায়, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের এই যুবতীর নাম অ্যামবার লুক। চেহারা ড্রাগনের মতো করতে মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের ৯৮ ভাগ জুড়েই করেছে ট্যাটু। ফাঁকা আছে মাত্র দুই ভাগ। শুধু ট্যাটু করতেই খরচ হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ টাকা।
সার্জারির মাধ্যমে জিহ্বা করেছে দ্বিখণ্ডিত। ইমপ্লান্ট করে বড় বানিয়েছে স্তন। থুতুনি, কান ও ঠোঁটেও নকশা করেছে। চোখ করেছে নীল। শরীরের নকশা ও চোখ নীল করতে খরচ হয়েছে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জিহ্বা দ্বিখণ্ডিত, স্তন বড়, থুতুনি ও ঠোঁটের সার্জারিতে খরচ হয়েছে ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাকিটা খরচ হয়েছে অন্যান্য কাজে।
পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে চোখ নীল করা ছিলো সবচেয়ে ভয়ানক। চোখের অক্ষিগোলকে ইনজেকশন দিয়ে ঢোকানো হয়েছিলো নীল কালি। তাই তিনসপ্তাহ কিছুই দেখতে পায়নি লুক। অন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও ছিলো। অবশ্য এখন সে পুরোপুরি সুস্থ।
২০০৯ সালে লুক ছিলো চৌদ্দ বছরের কিশোরি। সেই কিশোরিকালেই আক্রান্ত হয়েছিলো জটিল রোগে। উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ হলেও ভেঙে যায় শরীর। হারিয়ে যায় সৌন্দর্য। সৌন্দর্য হারানোয় নিজেকে ঘৃণা করতে শুরু করে লুক।
তাই সে নিজেকে নতুন করে সাজানোর চিন্তা করতে থাকে। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয় নিজেকে কিশোরি ড্রাগন সাজাবে। ষোলতম জন্মবার্ষিকীতে ড্রাগন হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে লুক। বয়স আঠারো হওয়ার আগেই শরীরে বানিয়ে ফেলে ২০০ ট্যাটু।
২০২২ সালের মার্চে লুকের পঁচিশ পূর্ণ হয়েছে। শেষ হয়েছে দশবছরে ড্রাগন সাজার পুরো প্রক্রিয়া। লুকের বয়স এখন আটাশ বছর এবং তার শরীরে আছে মোট ৬০০ ট্যাটু। একদিন সে হতে চেয়েছিলো কিশোরি ড্রাগন। কিন্তু লুক আজ পরিপূর্ণ যুবতী। তাই এখন সে আর কিশোরী নয়, এক টগবগে উদ্যোমী যুবতী ড্রাগন!
নতুন চেহারা নিয়ে এখন দারুণ খুশি লুক। নিজের প্রতি আর ঘৃণা নেই। ফিরে পেয়েছে নিজের প্রতি ভালোবাসা, নতুন উদ্যোম ও আত্মপ্রত্যয়।
এখন পেশাদার মডেল হতে চায় লুক। ইতোমধ্যেই বড় কয়েকটি প্রস্তাবও পেয়েছে। চলছে আলোচনা। দুপক্ষ একমত হলেই শুরু হবে ড্রাগন যুবতী লুকের নতুন জীবন।