ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ
নির্বাচন পিছিয়ে দিল্লীর হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে জনগণ
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৯:৪৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জ জেলার বিজয় মেলা মাঠ প্রাঙ্গণে এবি পার্টির জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, “নির্বাচন পিছিয়ে দিল্লীর হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র জনগণ আবারও কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।”
ফুয়াদ অভিযোগ করেন, দেশের রাজনীতিতে নতুন করে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, “এস আলমের টাকায় অনেক রাজনৈতিক দল দিল্লির হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার রাজনীতি করছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায় ও দরদের রাজনীতি শুরু হয়েছে। সেই রাজনীতির জায়গায় আর কোনো বিভাজন, বিদেশনির্ভরতা কিংবা টাকার প্রভাব আমরা চলতে দেব না।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা নির্বাচন পিছিয়ে বাংলাদেশকে আবারও পুরানো কায়দায় দিল্লির দালালি রাজনীতির হাতে তুলে দিতে চাইবে, তাদের ষড়যন্ত্র ডাইনোসরের মতো বিলীন হয়ে যাবে।
গণসমাবেশে ফুয়াদ মানিকগঞ্জের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে মানিকগঞ্জ থেকে একাধিকবার মন্ত্রী হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যায়, এখনো এখানে কোনো কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, এবি পার্টি জনগণের সেবা ও সমস্যা সমাধানের রাজনীতি করবে—যেখানে থাকবে না ঘুষ, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি।
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ বলেন, “ব্যাংক ও জ্বালানী খাত স্বৈরাচারীরা সবচেয়ে বেশি লুটপাট করেছে। কারণ জনগণ তাদের জবাবদিহি করতে ভয় পেয়েছে। এবি পার্টি চাই, জনগণ যেন প্রশ্ন করে, যেন জবাবদিহি ছাড়া কোনো সরকার না টিকে।”
দলের ছায়া কমিটি বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়নে দেশকে কেবল ইট-বালির জনপদ বানানো হচ্ছে। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, বিজয় মেলা মাঠে বসার মতো পরিবেশ নেই, পার্ক নেই, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি মাসে হাজার মানুষ মারা যায়—এসব সমস্যার সমাধান করাই হবে এবি পার্টির রাজনীতি।
সভাপতির বক্তব্যে মানিকগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম জনি বলেন, মানিকগঞ্জ ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা হলেও উন্নয়নে সবসময় অবহেলিত থেকেছে। বন্যা, নিরাপদ পানির সংকট, ভগ্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা মানিকগঞ্জবাসীর নিত্যসঙ্গী হয়ে আছে। তিনি ঘোষণা দেন, “আমরা মানিকগঞ্জ ও বঞ্চিত জনগণকে আর কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে ইজারা দেব না।”
গণসমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন—ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সেলিম খান, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, মানিকগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক হায়দারুল হাবীব খান, মুস্তাহাবুর রহমান, জুলাই যোদ্ধা রমজান মাহমুদ, আসাদুল্লাহ, শফিকুল ইসলাম (শহীদ সাদের পিতা)সহ অনেকে।