চাকসু নির্বাচন
অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪৮, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। বুধবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ও বিতর্কের মধ্য দিয়ে ভোট উৎসব চলছে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি ও অভিযোগের ঝড়।
সর্বশেষ দুপুরে জানা গেছে, ভোটারদের আঙুলে ব্যবহৃত তথাকথিত ‘অমোচনীয় কালি’ কয়েক মিনিটের মধ্যেই মুছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা।
প্রার্থীদের অভিযোগ: “কালি মুছে যাচ্ছে, জাল ভোটের আশঙ্কা”
আইটি ভবন কেন্দ্রে ভোটদান শেষে ছাত্রদলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন“ভোটারদের আঙুলে দেয়া কালি কয়েক মিনিটের মধ্যেই মুছে যাচ্ছে। এতে পুনরায় ভোট দেয়ার সুযোগ থেকে যাচ্ছে, যা ভোটের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”
অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছিল কালি অমোচনীয় হবে, কিন্তু বাস্তবে তা কয়েক মিনিটেই অটোমেটিক উঠে যাচ্ছে। নির্বাচনের শুরুতেই এটি বড় ধরনের শঙ্কার বিষয়।
দ্রোহ পর্ষদ প্যানেলের প্রার্থী রিজু লক্ষী অবরোধ ও জিএস ইফাজ উদ্দিন আহমেদ ইমুও অভিযোগ করেন যে, তারা পরিদর্শিত কোনো কেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার হতে দেখেননি। তাদের মতে, এটি ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার জন্য বড় হুমকি এবং জাল ভোটের সুযোগ তৈরি করছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৪০১ ও ৪০২ নম্বর কক্ষ এবং কলা ভবনের ৩১২৪ নম্বর কক্ষে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ছেলেদের কক্ষের কালি সহজেই উঠে গেলেও মেয়েদের ভোটকেন্দ্রে কালি ঠিকঠাক ছিল বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,“কালি উঠে গেলেও শিক্ষার্থীদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে ফেলা হচ্ছে। ফলে একই ব্যক্তি পুনরায় ভোট দিতে পারবেন না। এতে কোনো সমস্যা হবে না।”
১৯৯০ সালের পর থেকে দীর্ঘ তিন দশক ধরে বন্ধ থাকা চাকসু নির্বাচন এবার পুনরায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু ভোটের দিনই অমোচনীয় কালি বিতর্কে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।