আগামীকাল রাকসু নির্বাচনে ভোট, ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফল প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৫২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট। এরপর সন্ধ্যা ৫টা থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ভোট গণনা শুরু হবে এবং সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে রাকসুর নির্বাচন কমিশন।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন ও মোট প্রার্থী ৮৬০ জন। এর মধ্যে রাকসুর ২৩টি পদে প্রার্থী ৩০৫ জন, সিনেটের ৫টি পদে প্রার্থী ৫৮ জন ও ১৭টি হল সংসদের ২৫৫টি পদে প্রার্থী ৫৫৫ জন।
ভোটগ্রহণ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে। ভোটারদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ নারী ও ৬১ শতাংশ পুরুষ।
ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা (থ্রি ডাইমেনশনাল সিকিউরিটি)।
প্রতিটি ভোটারকে ছবিসহ পরিচয়পত্র যাচাই, ইউনিক ভোটার আইডি নম্বর যাচাই ও সন্দেহ হলে কিউআর কোড স্ক্যান করে চূড়ান্ত পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
অমোচনীয় কালি ছাড়াও পরিচয় যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে ২ হাজার পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব মোতায়েন থাকবে।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ভোটগ্রহণ হবে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে।
ব্যালটপেপার ছাপানো নিয়ে বিতর্ক এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ পরীক্ষাকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যালট তৈরি করা হয়েছে। মোট ভোটারের সমান সংখ্যক ব্যালট ছাপানো হয়েছে ২৮ হাজার ৯০১টি। কোনো কেন্দ্রে অতিরিক্ত বা কম ব্যালট যাবে না।
নির্বাচন কমিশনার জানান, প্রতি ভোটারকে ৬ পৃষ্ঠার ব্যালট দেওয়া হবে। তাই ভোটগ্রহণের পরই গণনা শুরু করে সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফল প্রকাশের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছেন তাঁরা।
সাংবাদিকদের স্থানীয় প্রভাব নিয়ে প্রশ্নে কমিশন জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহীর একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয়দের সহযোগিতাও স্বাভাবিক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগরের নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক তাদের সতর্ক করেছে বলেও জানান কর্মকর্তারা।
সাংবাদিকদের জন্য নির্বাচন কমিশনের কার্ড বিতরণে দুর্বলতা থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ।