দ. আফ্রিকাকে গুড়িয়ে ৯৩ রানে জয় পাকিস্তানের
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:১৮, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম যেন পাকিস্তানি স্পিনারদের ঘূর্ণির রাজ্য। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপও শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ২৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়ারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৮৩ রানে। ফলে প্রথম টেস্টে পাকিস্তান জিতে নেয় ৯৩ রানের ব্যবধানে এবং দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
এই জয়ে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলী। দুই ইনিংসে মিলিয়ে তিনি নিয়েছেন ১০ উইকেট—যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ১০ উইকেট শিকার। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘূর্ণির জাদু ছড়িয়ে ফেরান গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারদের। তাকে নিখুঁত সহায়তা করেছেন অফস্পিনার সাজিদ খান, যিনি দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
স্পিনের পাশাপাশি শাহিন শাহ আফ্রিদির পেসও ছিল তীক্ষ্ণ। প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত রিভার্স সুইংয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। প্রোটিয়া ব্যাটারদের বিপাকে ফেলতে শেষের দিকে তার বলই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
চতুর্থ দিনের শুরুতে ২ উইকেটে ৫১ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্রুতই হারায় টনি ডি জর্জি এবং ত্রিস্তান স্টাবসকে। কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও রায়ান রিকেলটন, যাদের ৭৩ রানের জুটি দলকে আশার আলো দেখালেও নোমানের স্পিনে ব্রেভিসের (৫০ বলে ৫১) বিদায়েই ভেঙে পড়ে প্রতিরোধ।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার সেনুরান মুথুসামী ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেও সেটি ফলপ্রসূ হয়নি। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের স্পিন-পেসের যুগল আঘাতেই ধসে যায় প্রোটিয়াদের ব্যাটিং অর্ডার।
লাহোরের দর্শকরা উপভোগ করেছেন স্পিন ও পেসের দুর্দান্ত সমন্বয়ে এক রোমাঞ্চকর টেস্ট জয়—যা পাকিস্তানের ঘরের মাঠে সাম্প্রতিক বছরগুলোর অন্যতম স্মরণীয় সাফল্য।