৫ বছরে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৪২%
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৫২, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
বিশ্বব্যাংকের সদ্যপ্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট ২০২৫–এ বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতির চিত্র উঠে এসেছে। ছবি: সংগৃহীত
গত পাঁচ বছরে দেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ। সরকারি ও বেসরকারি—দুই খাতের ঋণ মিলে ২০২৪ সালের শেষে মোট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৪৮ কোটি ডলার, যা ২০২০ সালে ছিল ৭ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার।
বিশ্বব্যাংকের সদ্যপ্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট ২০২৫–এ বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতির এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২০ সালে যেখানে পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩৭৩ কোটি ডলার, ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৩৫ কোটি ডলার।
এদিকে ঋণ ছাড়ের পরিমাণ তেমন বাড়েনি। ২০২৪ সালে সরকারি–বেসরকারি মিলে ঋণ ছাড় হয়েছে ১ হাজার ১১০ কোটি ডলার, যা ২০২০ সালে ছিল ১ হাজার ২২ কোটি ডলার।
২০২৪ সালে রপ্তানি আয়ের তুলনায় বৈদেশিক ঋণের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৯২ শতাংশ, আর মোট ঋণপরিষেবা খাতে ব্যয় হয়েছে রপ্তানি আয়ের ১৬ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক বলছে, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে—এমন দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। দক্ষিণ এশিয়ায় এই তালিকায় শ্রীলঙ্কার নামও রয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ি, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক ঋণ পায় বিশ্বব্যাংকের আইডিএ থেকে। আইডিএর মোট ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশই বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান মিলে পায়। বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের ২৬ শতাংশ এসেছে বিশ্বব্যাংক থেকে। এরপর রয়েছে এডিবি এবং জাপান থেকে।
