‘নিম্নমানের’ কিটক্যাট সরবরাহকারী কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:০০, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
‘নিম্নমানের’ কিটক্যাট সরবরাহকারী কারাগারে। ছবি: সংগৃহীত
দেশের বাজারে ‘নিম্নমানের’ কিটক্যাট চকলেট সরবরাহকারী মোজাম্মেল হোসাইনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিম্নমানের কিটক্যাট সবরাহের মামলা হয়েছে।
রবিবার ঢাকা স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথি তার জামিন আবেদন নাকচ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান জানান, “বারবার অনুরোধের পরও মোজাম্মেল হোসাইন কোনো সহযোগিতা করেননি।”
‘সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ’–এর মালিক মোজাম্মেলকে সম্প্রতি মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতিষ্ঠানটি নেসলে বাংলাদেশের উৎপাদিত কিটক্যাট চকলেট বাজারজাত করে থাকে।
৩ নভেম্বর মামলা হওয়ার পর আদালত মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মামলায় বলা হয়, ফকিরাপুলের আমানিয়া বেকারি থেকে সংগ্রহ করা কিটক্যাট নমুনার পরীক্ষায়— মিল্ক সলিড পাওয়া যায় ৯.১২%, যেখানে বিএসটিআই মানদণ্ড অনুযায়ী থাকা উচিত ১২–১৪%
মিল্ক ফ্যাট মাত্র ১.১৬%, যা মানসম্মত ২.৫–৩.৫%–এর তুলনায় অনেক কম।
কামরুল হাসানের ভাষায়, মিল্ক সলিড কম মানে সম্ভাব্য ভেজাল উপাদান, আর মিল্ক ফ্যাট কম মানে দুধের চর্বির পরিবর্তে তেল বা ভেজিটেবল ফ্যাট ব্যবহারের সম্ভাবনা থাকে।
২৪ নভেম্বর আরেকটি মামলায় নেসলে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিপাল আবে বিক্রমা এবং পাবলিক পলিসি ম্যানেজার রিয়াসাদ জামানকে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, যদিও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
এই মামলায় বলা হয়— ওয়েফার বিস্কুটে অনুমোদিত ১%–এর বিপরীতে ২.৩২% অ্যাসিডিটি পাওয়া গেছে। আবরণে ব্যবহৃত চকলেটে দুধের কঠিন পদার্থ ৯.৩১%, মানদণ্ডের (১২–১৪%) নিচে। দুধের ফ্যাট ১.২৩%, যা মানদণ্ডের তুলনায় অনেক কম।
