অটোরিকশা চালককে হত্যার ৭ বছর পর পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮:৫৬, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনার ৭ বছর পর ওই ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রবিবার (৭ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার ও পিবিআই কর্মকর্তা শচীন চাকমা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মো. হৃদয়কে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার বার্মা কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নে ১৪ বছর বয়সী অটোরিকশাচালক হাসিবুল ইসলামকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পিবিআই কর্মকর্তা শচীন চাকমা বলেন, 'ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।'
ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। সেদিন হাসিবুল বাবার অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতেও বাড়ি ফেরেনি। পরদিন তার বাবা কসবা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এর ৫ দিন পর আখাউড়ার নোয়াপাড়া বিল থেকে একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যায় মরদেহটি হাসিবুলের।
মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
পরে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআই উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিব উল্লাহ সরকার।
তদন্ত শেষে জানা যায়, অটোরিকশা ছিনতাইয়েরই পরিকল্পনা করেছিল পাশের গ্রামের হৃদয় ও তার সহযোগীরা। এজন্য হাসিবুলের অটোরিকশা ভাড়া করে সারাদিন ঘোরাঘুরি করে তারা।
সেদিন বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে নোয়াপাড়া বিলে নিয়ে হাসিবুলকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মরদেহ ওই জমিতে ফেলে রেখে অটো নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
২৮ বছর বয়সী মো. হৃদয়ের বাড়ি কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রাম। মুজিবুর মিয়ার ছেলে সে।
হৃদয় এ ঘটনার আগে থেকেই অন্য মামলায় পলাতক ছিল। পিবিআই জানায়, উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আসামীকে ট্র্যাক করে তারা।
এর আগে, শনিবার চট্টগ্রাম নগরের বার্মা কলোনি থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এসময় পুলিশের ওপর হামলাও চালায় হৃদয়।
হৃদয়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পিবিআই।
