চুলের ঘনত্ব বাড়াতে দই না ডিম—কোনটি বেশি কার্যকর?
জীবনযাপন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:৪৯, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:২৫, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

চুলের যত্নে ডিম আর দই—দুটোই খুব পরিচিত উপাদান। অনেকেই জানেন না, চুলের প্রয়োজন অনুযায়ী এই দুটি জিনিসের কাজ কিন্তু একেবারে আলাদা। কার জন্য কোনটি উপযুক্ত, তা জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে।
কেন স্ক্যাল্পের যত্ন সবচেয়ে জরুরি
চুল ঘন ও শক্ত রাখতে হলে শুধু বাইরের যত্ন নয়, মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পের অবস্থাও জানতে হবে। স্ক্যাল্পে পর্যাপ্ত পুষ্টি না পৌঁছালে হেয়ার ফলিকল দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে চুল পড়া বেড়ে যায়, নতুন চুলও গজাতে চায় না। প্রোটিন, ভিটামিন ও পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য দরকার পুষ্টিকর খাদ্য এবং বাইরে থেকে উপযুক্ত যত্ন।
চুলের যত্নে দই: প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের বিকল্প
দইয়ে রয়েছে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি৫ ও ‘গুড ব্যাকটেরিয়া’, যা মাথার ত্বককে সতেজ ও পুষ্ট রাখে।
¤ যাদের স্ক্যাল্প সংবেদনশীল বা খুশকি-প্রবণ, তাদের জন্য দই একটি প্রাকৃতিক সমাধান।
¤ এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখে এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
¤ রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ চুলে দই মাখলে চুল হয় নরম, মোলায়েম ও উজ্জ্বল।
অনেকেই বাজারচলতি কন্ডিশনারের বদলে দইয়ের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করেন—একটি প্রাকৃতিক ও সাশ্রয়ী বিকল্প।
চুলে ডিম: প্রোটিনের প্রাকৃতিক উৎস
ডিম হচ্ছে চুলের জন্য একপ্রকার ‘প্রোটিন পাওয়ারহাউজ’। এতে রয়েছে বায়োটিন, ভিটামিন ডি ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা দুর্বল চুলকে পুনরুজ্জীবিত করে।
¤ চুলের গোড়া শক্ত করতে ডিম অপরিহার্য।
¤ নিস্তেজ বা জেল্লাহীন চুলে প্রাণ ফেরাতে সপ্তাহে একবার ডিম মাখা যেতে পারে।
¤ মাথার ত্বকের জন্য ডিমের কুসুম বেশি উপকারী, আর চুলে উজ্জ্বলতা আনতে চাইলে ব্যবহার করুন ডিমের সাদা অংশ।
তবে মনে রাখবেন, ডিমে আঁশটে গন্ধ থেকে যায়। তাই প্রয়োগের পর ঠাণ্ডা পানি ও হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করা জরুরি।
কোনটি বেছে নেবেন?
যদি চুল রুক্ষ বা খুশকিযুক্ত হয়, বেছে নিন দই।
যদি চুল ভাঙা বা ঝরে যায়, বেছে নিন ডিম।
আর চাইলে দুইয়ের সংমিশ্রণেও তৈরি করতে পারেন প্রোটিন-রিচ হেয়ার মাস্ক—সপ্তাহে একবার ব্যবহারেই ফল পাবেন।
চুলে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের সময় নিয়মিততা বজায় রাখুন। একবারে ফল না দেখালেও নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে দুই মাসের মধ্যেই চুলে আসবে ঘনত্ব ও জেল্লা।