আন্দোলনে স্থবির ঢাকা, যানজটে নাকাল
প্রকাশ: ১৬:৪০, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:১২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে বুধবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে একপ্রকার থমকে গেছে ঢাকার কেন্দ্রীয় সড়কগুলো। দুপুর ২টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় চারপাশের যানচলাচল। এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে পল্টন, কাকরাইল, সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটর ও মগবাজার পর্যন্ত—যানজটে নাকাল নগরবাসী গরমের মধ্যেই ভোগান্তিতে পড়েছেন চরমভাবে।
সরজমিনে দেখা গেছে, শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ায় মৎস ভবন থেকে পল্টনমুখী গাড়িগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কাকরাইল, বেইলি রোড ও পল্টন এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। শাহবাগমুখী গাড়িগুলো কাঁটাবন থেকে ঘুরে যেতে বাধ্য হওয়ায় সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত ও এলিফ্যান্ট রোডও স্থবির হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, বাংলামোটর থেকে শেরাটন হয়ে শাহবাগমুখী গাড়িগুলো থমকে পড়েছে। এতে কারওয়ান বাজার, পরিবাগ, মগবাজার এলাকাও যানজটে অচল হয়ে যায়।
তীব্র রোদ ও গরমে বাসে বসে থাকা যাত্রীরা অতিষ্ঠ। অনেকে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। যাত্রাবাড়ীগামী রফিক মোহাম্মদ বলেন, “শিক্ষকরা আন্দোলন করতে পারেন, কিন্তু রাস্তাজুড়ে অবরোধ দিলে আমাদের মতো কর্মজীবীরা শাস্তি পাচ্ছি।”
এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ধানমন্ডি যাচ্ছিলাম, কিন্তু কখন পৌঁছাবো বুঝতে পারছি না। আন্দোলন হোক, কিন্তু রাস্তা ব্লক না করলে ভালো হয়।”
মূল বেতন ২০ শতাংশ বাড়িভাতা বৃদ্ধি, শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য দেড় হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ—এই তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।
বুধবার সকালে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণের প্রজ্ঞাপন না আসায় দুপুরে তারা শাহবাগ মোড়ে মিছিল নিয়ে অবস্থান নেন। যদিও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর অনুরোধে কিছুটা সময় অপেক্ষা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা, কিন্তু সমাধান না মেলায় অবরোধেই যান তারা।