হানিফসহ ৪ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনকে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেয়। প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এইদিন আসামি হানিফসহ চারজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ ছিল। কিন্তু তারা কেউ হাজির না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তাদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়। এ বিজ্ঞপ্তি দেশের দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৩ অক্টোবর।

মামলার অপর তিন আসামি হলেন—কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, জেলা সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা।

চারজনই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন বলে আদালতকে জানানো হয়।

৬ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-২ আনুষ্ঠানিকভাবে হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগে ৫ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে তিনটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে—

১. উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান

২. ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ততা এবং

৩. কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা।

জুলাই–আগস্ট আন্দোলন চলাকালে কুষ্টিয়ায় সহিংসতায় প্রাণ হারায় অন্তত ছয়জন। আহত হয় আরও কয়েকজন। ঘটনার পর হাসানুল হক ইনু, মাহবুব উল আলম হানিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি আলাদা মামলা হয়। পরবর্তী সময়ে তদন্ত সংস্থা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।