পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা রয়েছে ট্রাইব্যুনালে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:২৯, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গুমের দুই মামলাসহ তিন মামলায় পরোয়ানাভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিচার করার পূর্ণ ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের রয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “গুমের মামলায় হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বিষয়ে আইনি কোনো মতামত চাইলে তা প্রদান করা হবে। তবে আইনের সাধারণ বিধান অনুযায়ী, আসামিকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হয়। এরপর সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত।”
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারি পরোয়ানা সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পৌঁছে গেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, গুম-খুনে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারে এই আদালতই উপযুক্ত। এ আইন চ্যালেঞ্জ করার কোনো সুযোগ নেই বলেও স্পষ্ট করেন তিনি।
গত শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সেনা সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর কাছে এখনো কোনো গুমের ওয়ারেন্ট কপি পৌঁছেনি।
তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী কোনো ওয়ারেন্ট পেপার পায়নি।”তিনি আরও বলেন, সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে এলপিআরে থাকা একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা সদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়। ৯ অক্টোবরের মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়, যার মধ্যে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া সবাই হাজির হয়েছেন।
একই সঙ্গে, শেখ হাসিনার মামলার প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তবে তিনি অভিযোগ করেন, সরাসরি সম্প্রচারের সময় ট্রাইব্যুনালের ওপর সাইবার হামলার চেষ্টা করা হয়েছে।