হাসিনাসহ ২৬১ জনকে আদালতে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৫৭, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পলাতক আসামি শেখ হাসিনাসহ ২৬১ জনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা এই আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী সংস্থার প্রতিবেদনে আসামিদের পলাতক দেখানো হলে আদালত বিজ্ঞপ্তির এই নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এদিন আদালত কারাগারে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাবিনা আক্তার তুহিনসহ ২৪ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার দেখানো আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-মো. ইব্রাহীম খলিল বিপুল, মো. আব্দুস সবুর, মোছা. ছানোয়ারা খাতুন, মেহেদী হাসান আকাশ, এ কে এম আকতারুজ্জামান, কে এম রাশেদ, মোছা. মেরিনা খাতুন মেরি, সুশান্ত ভৌমিক, নিজাম বারী, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আনিচুজ্জামান আনিচ, মো. আকরামুল আলম, মো. নুর উন নবী মন্ডল দুলাল মাস্টার্স, মো. সাইফুল ইসলাম সর্দার, কাজী আবুল কালাম, মোছা. ফেন্সী, কে এম শাহ নেওয়াজ ওরফে শিবলু, রফিকুল ইসলাম, জিন্নাত সুলতানা ঝুমা, মেহেদী হাসান ঈশান ও জনি চন্দ্র সূত্রধর।
তাদের জামিনের আবেদন আদালত নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, এ মামলায় আরও একজন আসামিকে পূর্বে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে গত ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। আদালত গত ১৪ আগস্ট চার্জশিট গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বী আলমের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর একটি জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
সে সময় শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন এবং দেশবিরোধী বক্তব্য প্রদান করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রামের ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, বরিশাল বিভাগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, সাজ্জাদুল আনামসহ আরও অনেকে।