আওয়ামী লীগ নেতা আহসানের মুক্তিতে বাধা নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:২০, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০৫:৫৮, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক আহসান হাবিব ভূঁইয়াকে বনানী থানার নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এর আগে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামিন পান আহসান হাবিব। এই দুটির বাইরে আর কোনো মামলা না থাকায় তার মুক্তিতে আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গত ৪ অক্টোবর ভোরে গুলশানের একটি বাসা থেকে আহসান হাবিব ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন তার জামিন আবেদন নাকচ হলেও, ৮ অক্টোবর আদালত থেকে তিনি জামিন পান।
জামিনের পরপরই বনানী থানার আরেকটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন।
সোমবার শুনানির সময় আহসান হাবিব ভূঁইয়াকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে কৌঁসুলি হারুন অর রশীদ রিমান্ড আবেদনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন, আর আসামিপক্ষে আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, “আহসান হাবিব একজন জুলাই যোদ্ধা। আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল।”
প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন বলেন, “গ্রেপ্তার দেখানোর মতো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় আদালত আবেদন নাকচ করে দেন।”
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, গুলশান থানার মামলায় গত বৃহস্পতিবার জামিন হওয়ার সময় বনানী থানার মামলায় একটি ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ (হাজতি পরোয়ানা) পাঠানো হয়। আজ আদালত সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নামঞ্জুর করায় ওয়ারেন্ট বাতিল হলেই তিনি কারামুক্ত হবেন।
গুলশান থানার মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে গুলশানের ফজলে রাব্বী পার্কের পাশে ’নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা’ ব্যানার হাতে উসকানিমূলক স্লোগান দেন এবং গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করেন।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে গেলে পাঁচজন গ্রেপ্তার হন। তাদের মোবাইল ফোনে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার প্রমাণ পাওয়া যায় বলে অভিযোগ করা হয়।
গুলশান থানার এসআই মাহাবুব হোসাইন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন ১৩ সেপ্টেম্বর।
অন্যদিকে, বনানী থানার মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং নাশকতার চেষ্টা করেন।