গণঅভ্যুত্থানে নিহত হৃদয়ের লাশ কড্ডা নদীতে ফেলে দেয় পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:১২, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় গুলিতে নিহত কলেজছাত্র হৃদয় হোসেনের লাশ রাতের আঁধারে কড্ডা নদীতে ফেলে দেয় পুলিশ—এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সোমবার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্কে তিনি এ তথ্য উপস্থাপন করেন।
চিফ প্রসিকিউটর জানান, হৃদয়কে কাছ থেকে গুলি করেন কোনাবাড়ী থানার পুলিশ কনস্টেবল আকরাম, যিনি পরবর্তীতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “হৃদয়ের লাশ নিয়ে পুলিশ রাতের আঁধারে ব্রিজের ওপর থেকে কড্ডা নদীতে ফেলে দেয়।”
নদীটি প্রচণ্ড খরস্রোতা হওয়ায় ডুবুরি নামিয়েও হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তাজুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, শহীদ হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলম নগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। হেমনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি কোনাবাড়ীতে অটোরিকশা চালিয়ে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিখোঁজ হন, এবং আজও তাঁর লাশের সন্ধান মেলেনি।