ইসলামী আন্দোলন জাতিসংঘে সুশাসন, রোহিঙ্গা ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে বলিষ্ঠ অবস্থান চায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:২৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে—জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও বিশ্ববাসীর প্রত্যাশাকে প্রতিফলিত করে বলিষ্ঠ বক্তব্য উপস্থাপন করতে হবে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক বিবৃতিতে দলের যুগ্মমহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গাজায় চলমান গণহত্যা। বর্বর ইসরায়েল যে নির্মমতা চালাচ্ছে তা সহ্য করার মতো নয়। বিশ্বের বহু দেশ তাদের দীর্ঘদিনের পররাষ্ট্রনীতি ভেঙে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। এমন বাস্তবতায় ফিলিস্তিনের পরীক্ষিত বন্ধু বাংলাদেশকে অবশ্যই জাতিসংঘে গাজা ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের সংগ্রাম ও সুশাসনের জন্য জাতির দীর্ঘদিনের ব্যাকুলতা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সম্পর্কে ছড়ানো অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে। পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইতে হবে এবং খুনি-দুর্নীতিবাজদের দেশে ফেরাতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভুমিকা জোরালোভাবে দাবি করতে হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও দৃঢ় বক্তব্য রাখার আহ্বান জানান ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তায় কিছুটা ভূমিকা রাখলেও তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সভ্যতার এই যুগে লাখো নাগরিককে দেশান্তরিত করে নির্যাতনের শিকার করার পরও জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের উদাসীনতা অগ্রহণযোগ্য। এই বিষয়টি সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরতে হবে।”
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান মনে করিয়ে দেন, জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশকে অবশ্যই জলবায়ু সংকট, রোহিঙ্গা সঙ্কট এবং ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের মতো বিষয়গুলোতে স্পষ্ট ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর তুলতে হবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সবসময়ই নিপীড়িত মানবতার পাশে থেকেছে, এবারও সেই অঙ্গীকার জাতিসংঘের মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টাকে ঘোষণা করতে হবে।”