আসামির তালিকায় শীর্ষ আওয়ামী নেতারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:১৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া ১১৩টি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর মধ্যে রয়েছে ৬৫টি হত্যা মামলা, যেখানে আসামি করা হয়েছে ৩ হাজার ৯১২ জনকে। এই মামলাগুলোর শীর্ষ আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রিপরিষদের অধিকাংশ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমনকালে সহিংসতার অভিযোগে ১ হাজার ৭৩০টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে ৭৩১টি হত্যা মামলা। এসব মামলার বেশিরভাগেই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রধান আসামি করা হয়েছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানিয়েছেন, তদন্তাধীন মামলাগুলোর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৬১টি এবং দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ৫২টি মামলা রয়েছে। হত্যাকাণ্ড ছাড়াও অস্ত্র ও গুলির ব্যবহার, ভাঙচুর ও সহিংস হামলার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দণ্ডবিধি ছাড়াও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় মামলাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, “তদন্ত প্রক্রিয়ায় সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও প্রমাণ, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা হচ্ছে। দ্রুত চার্জশিট আদালতে দাখিলের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।”
এ পর্যন্ত ৩৪টি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি হত্যা মামলা এবং ২১টি অন্যান্য মামলা। হত্যা মামলাগুলোতে ১ হাজার ৩৯০ জনকে এবং অন্যান্য মামলায় ৭৭৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চার্জশিট দেওয়া মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—হত্যা মামলা: শেরপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ঘটনা।অন্যান্য মামলা: বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের সহিংসতা।
পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, সিনিয়র কর্মকর্তাদের তদারকিতে তদন্ত চলছে, যাতে নিরপেক্ষভাবে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা যায়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।