বিশ্ব ব্যর্থতা দিবস আজ
ব্যর্থতাই দেখায় সাফল্যের পথ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:২৮, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩৩, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

সফল হলে সবাই দেখে। সফলতার গল্প সবাই বলে। কিন্তু ব্যর্থতার গল্প বা কারণ, ক’জনই-বা জানে, বা বলে। অথচ মানুষের সফলতা ও ব্যর্থতা, অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। প্রতিটি সফল মানুষের জীবনেই আছে অসংখ্য ব্যর্থতা, হোঁচট খাওয়া আর নতুন করে শুরু করার গল্প।
সেই ব্যর্থতাকে ভয় না পেয়ে, বরং উঠে দাঁড়ানোর অদম্য অনুপ্রেরণার বার্তা দিতেই প্রতি বছর ১৩ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ’আন্তর্জাতিক ব্যর্থতা দিবস’।
ব্যর্থতা দিবসের সূচনা হয় ২০১০ সালে ফিনল্যান্ডে, একদল তরুণ উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীর উদ্যোগে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল- সমাজে ব্যর্থতাকে ঘিরে থাকা ভয় ও লজ্জার সংস্কৃতি ভাঙা। তাদের মূল বার্তা- “যে কেউ নতুন কিছু করতে গেলেই ভুল করবে, ঝুঁকি নেবে; আর সেখানেই শেখার শুরু।”
এই চিন্তা থেকেই জন্ম নেয় ‘ফেইলিউর ডে’ বা আন্তর্জাতিক ব্যর্থতা দিবস। এরপর ধীরে ধীরে এটি ইউরোপ ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বিশ্বের নানা দেশে, যেখানে আজ ব্যর্থতাকে সাহস ও উদ্ভাবনের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘ভয় নয়, চেষ্টা করো’।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রেই—পড়াশোনা, পেশা, ব্যবসা কিংবা সম্পর্ক—ব্যর্থতা আসবেই। কিন্তু সমাজে ব্যর্থতাকে প্রায়ই লজ্জার বা অপমানের বিষয় হিসেবে দেখা হয়। এই নেতিবাচক মানসিকতাই মানুষকে নতুন কিছু করতে ভয় পাইয়ে দেয়। আন্তর্জাতিক ব্যর্থতা দিবস তাই মনে করিয়ে দেয়— যে ব্যর্থ হতে ভয় পায় না, সাফল্য একদিন তাকেই খুঁজে নেয়।”
মনোবিজ্ঞানীরা আরও বলেন, ব্যর্থতাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা শেখা মানে নিজের সীমা ভাঙা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানো। ব্যর্থতা সৃষ্টিশীল চিন্তা জাগায়, মানুষকে দৃঢ় করে তোলে এবং ভবিষ্যতের সাফল্যের ভিত্তি তৈরি করে। ব্যর্থতা মানেই থেমে যাওয়া নয়; এটি সাফল্যের পথে অপরিহার্য একটি ধাপ।”