`গডফাদার’ স্রষ্টা মারিও পুজোর জন্মদিন আজ
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০০:৩৮, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০১:১৯, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

মারিও পুজো। ফাইল ছবি
ইতিহাসের এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বের নানা প্রজন্মকে প্রভাবিত করা কবি, দার্শনিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও বিজ্ঞানীরা। তাদের অবদান আজও মানবসভ্যতার চিন্তাধারায় অমলিন হয়ে আছে।
কবিতা, সাহিত্য ও দর্শনের অমর ব্যক্তিত্বরা
খ্রিস্টপূর্ব ৭০ সালে জন্ম নেন পুবলিয়ুস ভেরগিলিয়ুস মারো, যিনি ‘ভেরজিল’ নামে খ্যাত প্রাচীন রোমের শ্রেষ্ঠ কবি। তার “এইনেইড” মহাকাব্য রোমান সভ্যতার বীরত্বগাথা হিসেবে আজও পাঠকের হৃদয়ে অমর।
১৮১৪ সালে জন্ম নেন রুশ সাহিত্যজগতের প্রতিভাবান কবি ও লেখক মিখাইল লারমন্টভ, যার রচনায় ফুটে ওঠে গভীর দার্শনিক ভাবনা ও মানবিক বেদনা।
১৮৪৪ সালের এই দিনে জন্ম নেন জার্মান দার্শনিক ফ্রিড্রিখ্ ভিল্হেল্ম নিটশে, যার ‘দাস স্পোক জারাথোস্ত্র’ মানব-অস্তিত্ব ও ক্ষমতার দর্শন বিশ্ববুদ্ধিজীবী সমাজে আজও আলোচ্য।
১৮৯২ সালে জন্ম নেন বাংলা সাহিত্যসমালোচনার অন্যতম পথিকৃৎ শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তার লেখনী বাংলা সাহিত্যের বিশ্লেষণধারায় নতুন মাত্রা যুক্ত করে।
১৯২০ সালে জন্ম নেন বিখ্যাত মার্কিন কথাসাহিত্যিক মারিও পুজো, যিনি ‘দ্য গডফাদার’ উপন্যাসের মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্যে অপরাধবোধ ও পারিবারিক শক্তির নতুন সংজ্ঞা দেন।
১৯২৩ সালে জন্ম নেন ইতালীয় লেখক ইতালো কালভিনো, আধুনিক ইউরোপীয় সাহিত্যের এক অনন্য রূপকার, যার ইনভিজিবল আজও পাঠককে মুগ্ধ করে।
১৯২৬ সালে জন্ম নেন দার্শনিক, সমালোচক ও প্রাবন্ধিক মিশেল ফুকো—যিনি ক্ষমতা, জ্ঞান ও সমাজব্যবস্থার সম্পর্ক নিয়ে আধুনিক চিন্তাধারায় বিপ্লব ঘটান।
বিজ্ঞান ও জ্ঞানের জগৎ
১৬০৮ সালে জন্ম নেন ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী এভামগেলিস্টা টরিচেলি, যিনি বায়ুমাপক যন্ত্র ব্যারোমিটার উদ্ভাবনের জন্য আজও বিজ্ঞানের ইতিহাসে অমর।
১৯০৮ সালে জন্ম নেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ জন কেনেথ গলব্রেইথ, যিনি অর্থনৈতিক নীতি ও সমাজবিজ্ঞানকে একত্র করে নতুন চিন্তার সূচনা করেন।
১৯৪০ সালে জন্ম নেন অস্ট্রেলিয়ান ইমিউনোলজিস্ট পিটার সি. ডোহার্টি, যিনি ভাইরাসবিজ্ঞান গবেষণায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
১৯৩১ সালের আজকের দিনে জন্ম নেন ভারতের বিজ্ঞানী ও একাদশ রাষ্ট্রপতি ড. এ. পি. জে. আব্দুল কালাম—‘জনতার প্রেসিডেন্ট’ নামে খ্যাত এই বিজ্ঞানী মহাকাশ প্রযুক্তি ও পরমাণু উন্নয়নে ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন।
রাজনীতি ও নেতৃত্ব
১৫৪২ সালের এই দিনে (কিছু ঐতিহাসিকের মতে) জন্ম নেন মহান মোগল সম্রাট জালালউদ্দিন মুহাম্মদ আকবর, যিনি ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্রাজ্যের নতুন ধারা সৃষ্টি করেন।
১৮৭৮ সালে জন্ম নেন পল রেয়নাউড, ফ্রান্সের ১১৮তম প্রধানমন্ত্রী, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন।
১৮৯৪ সালে জন্ম নেন ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত ইসরায়েলি রাজনীতিক মোশে শারেট, যিনি ইসরায়েলের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কূটনৈতিক নীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন।
১৯৪৪ সালে জন্ম নেন আইরিশ আইনজীবী ও রাজনীতিক ডেভিড ট্রিম্বলে, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের তৃতীয় ফার্স্ট মিনিস্টার এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত শান্তিসংবাদক।
সংস্কৃতি, সিনেমা ও ক্রীড়া
১৯৪৬ সালে জন্ম নেন বরেণ্য বাঙালি অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি সত্যজিৎ রায় ও ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্রে স্মরণীয় অভিনয় উপহার দিয়েছেন।
১৯৪৮ সালে জন্ম নেন জনপ্রিয় বাঙালি কল্পবিজ্ঞান লেখক সিদ্ধার্থ ঘোষ, যিনি বাংলা সাই-ফাই সাহিত্যে স্বপ্ন ও প্রযুক্তির সংমিশ্রণ ঘটান।
১৯৫৭ সালে জন্ম নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার, যিনি ‘সালাম বোম্বে’ ও ‘মনসুন উইডিং’ এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় সমাজের জীবনচিত্র বিশ্বে তুলে ধরেছেন।
১৯৬৬ সালে জন্ম নেন মেক্সিকোর কিংবদন্তি গোলরক্ষক জর্জ কাম্পোস।
১৯৭১ সালে জন্ম নেন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ফুটবলার অ্যান্ডি কোল, যিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে অগণিত জয়সূচক গোল করেছেন।
১৯৭৭ সালে জন্ম নেন ফরাসি ফুটবলার দাভিদ ত্রেজেগে, ২০০০ সালের ইউরো জয়ী দলের অন্যতম নায়ক।
১৯৮৩ সালে জন্ম নেন হংকংয়ের গায়িকা ও অভিনেত্রী স্টেফ্য টাং, যিনি ক্যান্টোনিজ সঙ্গীতজগতে আইকনিক নাম।
১৯৮৬ সালে জন্ম নেন দক্ষিণ কোরিয়ান গায়ক ও অভিনেতা লি ডোঙ্গায়ে, কে-পপ ব্যান্ড ‘সুপার জুনিয়র’–এর অন্যতম সদস্য।
১৯৮৮ সালে জন্ম নেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার মেসুত ওজিল, যিনি মাঠে সূক্ষ্ম পাস ও সৃষ্টিশীলতার জন্য বিখ্যাত।