১৯৬৩ সালের এই দিনে হারিয়েছি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:৩৫, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
বিশ্বসভ্যতার নানা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে আলোচিত করে তুলেছেন এমন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি ৫ ডিসেম্বর দিনটিতেই বিদায় নিয়েছেন পৃথিবী থেকে। সঙ্গীত, সাহিত্য, রাজনীতি, চিত্রকলাসহ বিভিন্ন শাখায় যারা গভীর প্রভাব রেখে গেছেন—তাদের মৃত্যুবরণ এই তারিখটিকে ইতিহাসে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ করেছে। সমাজকাল পাঠকদের জন্য দিনটির উল্লেখযোগ্য মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তিদের জীবনসংক্ষিপ্তি ও অবদান তুলে ধরা হলো—
রাজনীতি ও রাজতন্ত্র: দ্বিতীয় ফ্রাঙ্কোইস থেকে সোহরাওয়ার্দী
১৫৬০ — ফ্রান্সের রাজা দ্বিতীয় ফ্রাঙ্কোইস
ফ্রান্সের ইতিহাসে ধর্মীয় গৃহযুদ্ধের সূচনাকালে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই মৃত্যু হয় তরুণ রাজা দ্বিতীয় ফ্রাঙ্কোইসের। তার স্বল্পমেয়াদি শাসনকালই পরবর্তীতে ফরাসি রাজনীতিতে বড় অস্থিরতার জন্ম দেয়।
১৯১৬ — কেমব্রিজের রাজকুমারী অগাস্টা
ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য, রাজকুমারী অগাস্টা ছিলেন ইউরোপীয় রাজতন্ত্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
১৯৬৩ — হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
বাঙালির রাজনৈতিক ইতিহাসের অবিস্মরণীয় নাম। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রবাদী নেতা ও দক্ষ আইনজীবী হিসেবে পরিচিত সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু উপমহাদেশের রাজনীতিতে গভীর শূন্যতা সৃষ্টি করেছিল।
সঙ্গীত ও শিল্প: মোৎসার্ট, মনে ও অবনীন্দ্রনাথের বিদায়
১৭৯১ — ভোল্ফগাং আমাদেউস মোৎসার্ট
ইউরোপীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের প্রতিভা ও বিস্ময় মোৎসার্টের মৃত্যু এই দিনে। মাত্র ৩৫ বছরের জীবনে তিনি ৬০০–র বেশি সুররচনা করেন—যা তাকে বিশ্বসঙ্গীতের অমোঘ প্রতীকে পরিণত করেছে।
১৯২৬ — ক্লোদ মনে
ফরাসি ইমপ্রেশনিস্ট আন্দোলনের পথিকৃৎ এই চিত্রশিল্পী তার রঙ, আলো ও প্রকৃতিনির্ভর চিত্রকর্মের মধ্য দিয়ে আধুনিক শিল্পধারার ভিত্তি স্থাপন করেন। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এক বিশাল শিল্পযুগের অবসান ঘটে।
১৯৫১ — অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাংলা আধুনিক শিল্পধারার জনক, শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ এদিনেই। ‘ভারতীয় চিত্রকলার পুনর্জাগরণ’-এর কারিগর হিসেবে তিনি উপমহাদেশের শিল্পচর্চাকে বিশ্বমঞ্চে নতুন পরিচয় দেন।
১৯৯৩ — সত্য চৌধুরী
প্রখ্যাত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী। বাংলা সংগীতে তাঁর অবদান আজও অনন্য। বাংলা চলচ্চিত্র ও আধুনিক গানে তিনি রেখে গেছেন বৈপ্লবিক সুরভাষা।
সাহিত্য ও দর্শন: আলেক্সাঁদ্র দ্যুমা, ধূর্জটিপ্রসাদ ও অরবিন্দ ঘোষ
১৮৭০ — আলেক্সাঁদ্র দ্যুমা
‘দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ ও ‘কাউন্ট অব মন্টে ক্রিস্টো’–এর জনক দ্যুমা তার রোমাঞ্চ–নির্ভর সাহিত্যরীতির মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্যে নতুন ধারা সৃষ্টি করেন।
১৯৫০ — অরবিন্দ ঘোষ
রাজনীতিবিদ থেকে আধ্যাত্মসাধক—অরবিন্দ ঘোষের জীবন ছিল সংগ্রাম, দর্শন ও বিপ্লবচেতনায় ভরপুর। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তাঁর রচনা ও চিন্তাধারা আজও আলোচিত।
১৯৬১ — ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
বাংলা সাহিত্যের চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক, অর্থনীতিবিদ ও রসিকতাসাহিত্যের অন্যতম স্থপতি। তার প্রবন্ধরীতি বাংলা সাহিত্যে গদ্যধারার নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।
১৯৮১ — সত্যেন সেন
বাংলা সাংস্কৃতিক আন্দোলনের এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, সাহিত্যিক ও সংগঠক সত্যেন সেনের মৃত্যু সংস্কৃতি–রাজনীতির পরিসরে গভীর আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
ধর্মীয় নেতৃত্ব ও জ্ঞানচর্চা: মাদানী ও নীলরতন ধর
১৯৫৭ — হযরত মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.)
উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ আলেম, রাজনৈতিক কর্মী ও শিক্ষাবিদ। তার সংগ্রাম ছিল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং শিক্ষার প্রসারে।
১৯৮৬ — ড. নীলরতন ধর
ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ বিজ্ঞানী নীলরতন ধরের মৃত্যু ৫ ডিসেম্বর। আধুনিক রসায়নশিক্ষা ও গবেষণায় তাঁর ভূমিকা আজও স্মরণীয়।
