কবি কামিনী রায় এদিন জন্মেছিলেন
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮:৩২, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আজ ১২ অক্টোবর—ইতিহাসের পাতায় এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন সাহিত্য, সংগীত, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির নানা মহারথী। তাদের কৃতিত্বেই মানবসভ্যতা পেয়েছে নতুন দিশা, অনুপ্রেরণা ও সৃজনশক্তির দীপ্তি।
কবি কামিনী রায় (১৮৬৪–১৯৩৩)
বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিককার নারী কবিদের অন্যতম কামিনী রায় সমাজসংস্কার ও নারীশিক্ষার অগ্রদূত ছিলেন। তার কবিতায় ফুটে উঠেছে মানবিক বোধ, দেশপ্রেম ও নারীজাগরণের আহ্বান। তিনি ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত এবং বাংলার নারী শিক্ষার ইতিহাসে পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব।
স্যার আর্থার হার্ডেন (১৮৬৫–১৯৪০)
নোবেলজয়ী ইংরেজ জীবরসায়নবিদ, যিনি কোষের বিপাক প্রক্রিয়া নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণা করেন। ১৯২৯ সালে তিনি রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান—জীবরসায়নের আধুনিক যুগের ভিত্তি স্থাপনে তাঁর অবদান অনন্য।
ইউজিনিও মন্তাল (১৮৯৬–১৯৮১)
১৯৭৫ সালের নোবেলজয়ী ইতালীয় কবি ও গল্পকার ইউজিনিও মন্তাল তার গভীর দার্শনিক ভাবনা ও ভাষার শৈল্পিক ব্যবহারে ইউরোপীয় আধুনিক কবিতায় নতুন মাত্রা যোগ করেন।
উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (১৯০২–১৯৯৭)
ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভ্রমণ কাহিনিকার, পর্বতারোহী ও পরিব্রাজক উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তাঁর ভ্রমণগাথায় প্রকৃতিপ্রেম ও মানবসভ্যতার মেলবন্ধন ঘটান। “হিমালয়ে” এবং “সিকিমে” গ্রন্থ তাঁকে বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯২৪–২০০০)
রবীন্দ্রসংগীতের কিংবদন্তি কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন শান্তিনিকেতনের গর্ব। তার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান পেয়েছিল এক নতুন প্রাণ। ভক্তরা তাঁকে আদর করে ‘মালা’ নামে চিনতেন।
এহতেশাম হায়দার চৌধুরী (১৯২৭–২০০৩)
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনায় পথিকৃৎ এহতেশাম হায়দার চৌধুরী বাংলা চলচ্চিত্রকে আধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্পরুচির ছোঁয়া দেন।
উলাহ্-ইয়োহান ডাল (১৯৩১–২০০২)
নরওয়েজীয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী, যিনি আধুনিক অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংয়ের অন্যতম জনক। তাঁর ধারণাই পরবর্তীতে সি++ ও জাভার মতো ভাষার ভিত্তি রচনা করে।
সুমিত রায় (১৯৪০–২০২১)
বিখ্যাত অভিনেতা বিকাশ রায়ের পুত্র সুমিত রায় ছিলেন প্রতিভাবান প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানী। তিনি চলচ্চিত্র ও প্রযুক্তি—দুই জগতেই অবদান রেখে গেছেন।
কারী আব্দুল গণী (১৯৪৪– )
বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও ক্বারি হিসেবে কোরআন তেলাওয়াতে পারদর্শী এই ধর্মবিদ ধর্মচর্চা ও শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
হরিশংকর জলদাস (১৯৫৫– )
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। তাঁর উপন্যাস “একজন মহীয়সী” এবং “নীলমানব” প্রান্তিক জীবনের বেদনা, শ্রেণিসংঘাত ও মানবতাবোধকে গভীরভাবে তুলে ধরেছে।
হ্যাপী আখন্দ (১৯৬০–১৯৮৭)
বাংলাদেশি পপ ও রক সঙ্গীতের অগ্রদূতদের একজন। তার গান “আবার এল যে সন্ধ্যা” আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে অমলিন।
স্নেহা (জ. ১৯৮১)
দক্ষিণ ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্নেহা (আসল নাম সুহাসিনী রাজারাম নাইডু) তামিল ও তেলেগু চলচ্চিত্রে অসামান্য অভিনয়ের জন্য সমাদৃত।
রিংকু সিং (জ. ১৯৯৭)
ভারতীয় ক্রিকেটার রিংকু সিং তাঁর ফিনিশিং ব্যাটিং দক্ষতা ও আইপিএলে বিস্ফোরক পারফরম্যান্সের জন্য আলোচনায় এসেছেন।
সরদার মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ (জ. ২০০০)
বাংলাদেশের তরুণ মহাকাশ চিন্তাবিদ ও গবেষক। কিশোর বয়সেই মহাকাশ বিজ্ঞানের ওপর গবেষণাধর্মী লেখালেখি করে খ্যাতি অর্জন করেছেন।