হয়ে যাক এক পেয়ালা কফি
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৫৮, ১ অক্টোবর ২০২৫

কফি কেবলমাত্র এক কাপ পানীয় নয়—এটি আমাদের সকালের ঘুম ভাঙানোর সঙ্গী, দীর্ঘ আড্ডার উপলক্ষ কিংবা নতুন কিছু শুরু করার অজুহাত। রাজধানীর রাস্তায় হাঁটলে চোখে পড়ে অসংখ্য কফিশপ, যা প্রমাণ করে কফির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কতটা গভীর।
কেন আজ কফির দিন?
আজ ১ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক কফি দিবস। যদিও কফি পানের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না, তবুও কফিপ্রেমীদের জন্য এই দিনটি বিশেষ আনন্দের।
সবচেয়ে সহজ উদযাপন হলো এক কাপ গরম কফি হাতে নেওয়া। সেটা হোক কালো কফি, দুধ-চিনি মেশানো কফি, কিংবা জনপ্রিয় লাটে, আমেরিকানো বা ক্যাপুচিনো—প্রতিটি কফিই দিবসটিকে রাঙিয়ে তুলতে পারে।
ভিন্ন দেশের স্বাদে কফি
কফির জগতে রয়েছে নানা বৈচিত্র্য। তুর্কি কফি ইব্রিক পাত্রে তৈরি হয়, ভিয়েতনামিজ কফিতে কনডেন্সড মিল্কের অনন্য স্বাদ, আর আইরিশ কফি মিশ্রিত হয় এক ভিন্ন মাত্রায়। চাইলে আজকের দিনে এই ভিন্ন স্বাদগুলোও উপভোগ করতে পারেন।
ফ্রেঞ্চ প্রেস, মকা পট, কেমেক্স কিংবা অ্যারোপ্রেস—যে পদ্ধতিই ব্যবহার করুন না কেন, প্রতিবারই পাবেন নতুন এক স্বাদ।
কফির ইতিহাসের ছোট্ট ভ্রমণ
কথিত আছে, কফির উৎপত্তি ইথিওপিয়ায়। নবম শতকে এক রাখাল লক্ষ্য করেছিলেন, তার ছাগল কফির ফল খেয়ে অস্বাভাবিক চনমনে হয়ে ওঠে। সেখান থেকেই শুরু কফির যাত্রা।
১৫শ শতকে কফি জনপ্রিয় হয় আরব বিশ্বে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে এশিয়া, ইউরোপ হয়ে আমেরিকা পর্যন্ত। আধুনিক কফি সংস্কৃতির সূচনা হয় মাত্র পঞ্চাশ বছর আগে, থার্ড ওয়েভ কফি শপের মাধ্যমে।
আন্তর্জাতিক কফি দিবস প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয় ২০১৫ সালে ইতালির মিলানে। মূল উদ্দেশ্য ছিল কফি চাষিদের দুর্দশা তুলে ধরা ও ন্যায্য বাণিজ্যের প্রচার করা। যদিও বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে কফি দিবস পালিত হয়, তবু সবচেয়ে প্রচলিত তারিখ হলো ১ অক্টোবর।
আজ যখন হাতে তুলবেন এক কাপ কফি, তখন শুধু স্বাদই নয়—চিন্তা করুন কফির সেই দীর্ঘ পথচলার কথা। ইথিওপিয়ার পাহাড় থেকে শুরু করে কীভাবে এটি আপনার টেবিলে পৌঁছেছে।
তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আজ আনন্দ নিয়ে কফি পান করুন। উপভোগ করুন প্রিয় কফির স্বাদ আর উদযাপন করুন আন্তর্জাতিক কফি দিবস।