নোবেলজয়ী চিকিৎসক থেকে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:৪২, ৬ অক্টোবর ২০২৫

ছবি : আনোয়ার সাদাত
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, আজকের এই দিনে বিদায় নিয়েছেন বহু গুণী ব্যক্তিত্ব—বিজ্ঞান, রাজনীতি, সাহিত্য ও শিল্পের নানা ক্ষেত্রের আলোকবর্তিকা। তাদের অবদান আজও মানবসভ্যতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অম্লান হয়ে আছে।
১৯৫১ সালের এই দিনে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান অট্টো ফ্রিটজ মেয়ারহফ, জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক ও জীবরসায়নবিদ। তিনি ১৯২২ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন পেশি বিপাক প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করার জন্য, যা আধুনিক বায়োকেমিস্ট্রির ভিত্তি গঠনে ভূমিকা রাখে।
১৯৬২ সালে পরলোকগমন করেন টড ব্রাউনিং—আমেরিকান চলচ্চিত্র জগতের এক কিংবদন্তি পরিচালক ও অভিনেতা, যিনি Dracula (১৯৩১) ও Freaks (১৯৩২)-এর মতো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ভৌতিক ধারার সিনেমায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন।
১৯৬৭ সালে প্রয়াত হন সুভাষচন্দ্র বসুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী যতীন্দ্রচন্দ্র ভট্টাচার্য, যিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
১৯৮১ সালের আজকের দিনে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন মিশরের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট ও নোবেলজয়ী নেতা মুহাম্মদ আনোয়ার আল সাদাত। ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছিলেন।
১৯৯২ সালে মৃত্যুবরণ করেন বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার বিল ও’রিলি—যাকে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা লেগ-স্পিনার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৯৯৯ সালে প্রয়াত হন পর্তুগিজ সঙ্গীত ও সংস্কৃতির কিংবদন্তি আমালিয়া রডরিগুয়েজ, যাঁর কণ্ঠে ‘ফাদো’ সংগীত বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পায়।
২০০০ সালে আত্মহত্যার মাধ্যমে জীবন শেষ করেন মার্কিন অভিনেতা ও স্টান্টম্যান রিচার্ড ফার্নসওয়ার্থ, যিনি The Straight Story-এ অসাধারণ অভিনয়ের জন্য অস্কার-মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
২০১২ সালের এই দিনে পরলোকগমন করেন পেরুর খ্যাতিমান কবি আন্তোনিও থিসনেরস, যার কবিতায় সমাজ ও মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্ব গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
আর ২০২০ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কিংবদন্তি গিটারিস্ট এডি ভ্যান হ্যালেন—রক সঙ্গীতের ইতিহাসে যাঁর গিটার রিফ ও টেকনিক আজও প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে।
মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে তাদের অবদান আজও অমর হয়ে আছে, ইতিহাস তাই বারবার তাদের নাম উচ্চারণ করে।