সকালে উঠলে সহজ হবে কঠিন কাজও
জীবনযাপন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:৪৯, ১০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:৪১, ১০ অক্টোবর ২০২৫

শীতের সকালে বিছানার উষ্ণতা ছেড়ে ওঠা যেন যুদ্ধের মতো কঠিন! অনেকেই প্রতিদিনই ভাবেন—‘আজ আরেকটু ঘুমিয়ে নিই’, আর হাত চলে যায় সেই চেনা স্নুজ বোতামে। কিন্তু আপনি যদি দিনের শুরুটা তাড়াতাড়ি করে নিতে পারেন, তবে তা আপনার শরীর, মন এবং কর্মক্ষমতা—সবকিছুরই উন্নতি ঘটাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে মস্তিষ্ককে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব, যাতে সকালে ওঠা হয়ে যায় একদম সহজ কাজ।
কেন সকালে ওঠা এত কঠিন?
শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি বা সার্কেডিয়ান রিদম নির্দিষ্ট ঘুম-জাগরণ চক্রে কাজ করে। এই ছন্দ একবার এলোমেলো হলে সকালে উঠতে কষ্ট হয়। বিশেষ করে শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়া ও কম সূর্যালোক ঘুমের হরমোন মেলাটোনিন দীর্ঘক্ষণ সক্রিয় রাখে, ফলে শরীর ঘুমিয়ে থাকতে চায়।
সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার ৭টি কার্যকর উপায়
১. নিয়মিত ঘুমের সময় ঠিক রাখুন
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান ও একই সময়ে উঠুন—ছুটির দিনেও। এতে শরীরের জৈবঘড়ি স্থিতিশীল হয়, আর মস্তিষ্ক জানে কখন ঘুমোতে হবে, কখন জেগে উঠতে হবে।
২. ঘুমের আগে রুটিন তৈরি করুন
ঘুমানোর আগে নিজেকে শিথিল করুন। বই পড়া, মেডিটেশন, হালকা গরম দুধ বা হারবাল চা পান—এসব অভ্যাস শরীরকে ঘুমের প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে।
৩. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন
ফোন বা ল্যাপটপের ব্লু লাইট ঘুমের শত্রু। ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগে স্ক্রিন বন্ধ রাখুন, যাতে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাধাগ্রস্ত না হয়।
৪. ধীরে ধীরে জাগিয়ে তোলে এমন অ্যালার্ম ব্যবহার করুন
হঠাৎ তীব্র অ্যালার্মের বদলে ব্যবহার করুন সানরাইজ অ্যালার্ম বা হালকা সুরের অ্যালার্ম। এতে ঘুম ভাঙা মসৃণ হয়, মনও থাকে ভালো।
৫. সকালে সূর্যের আলো নিন
জেগে উঠেই জানালা খুলে দিন বা বারান্দায় বেরিয়ে কয়েক মিনিট রোদে দাঁড়ান। সূর্যালোক শরীরের ঘড়ি পুনর্গঠন করে এবং শক্তি জোগায়।
৬. হালকা ব্যায়াম করুন
সকালের স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম বা ১০ মিনিটের হাঁটা রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, ঘুম ঘুম ভাব দূর করে। এতে সারাদিন আপনি থাকবেন উদ্যমী।
৭.সকালটা করে তুলুন আনন্দময়
সকালের সঙ্গে প্রিয় কিছু জুড়ে দিন—এক কাপ কফি, প্রিয় গান বা অনুপ্রেরণামূলক পডকাস্ট। এতে দিন শুরু করার আগ্রহ বাড়ে, সকালে উঠতে ইচ্ছে জাগে।