২৬ খণ্ড লাশ: দুই সন্দেহভাজনের ৫ দিনের রিমান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:৩৮, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪০, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
দুই সন্দেহভাজন জারেজুল ইসলাম ওরফে জরেজ এবং শমীমা আক্তার। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকার হাইকোর্টের সামনে প্লাস্টিকের নীল ড্রামে ২৬ খণ্ডে বিভক্ত রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি ‘প্রধান সন্দেহভাজন’ জারেজুল ইসলাম ওরফে জরেজ এবং শমীমা আক্তারকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিন তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন শুনে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন, তবে আদালত ৫ দিন অনুমোদন করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউশনের এসআই জিন্নাত আলী।
শুনানিতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। বিচারক তাদের কিছু বলার আছে কিনা জানতে চাইলে তারা শুধু বলেন, ‘কিছু বলার নেই।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে দুটি নীল ড্রামের ভেতর থেকে খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আঙুলের ছাপ মিলিয়ে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আশরাফুল হক।
মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন তোলে। পরদিন নিহতের বোন শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত, এবং লাশ খণ্ড করার কাজ করা হয়েছে দক্ষতার সঙ্গে। কেন, কোথায় এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তা উদঘাটনে রিমান্ড গুরুত্বপূর্ণ বলে তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করছেন।
তদন্তসংশ্লিষ্টদের প্রাথমিক ধারণা, হত্যার পেছনে আর্থিক লেনদেন, ব্যক্তিগত বিরোধ, বা চক্রগত পরিকল্পনা —এর যেকোনোটি থাকতে পারে।
উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন হাইকোর্ট এলাকাতেই এভাবে ড্রামে লাশ ফেলে যাওয়ার ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
পুলিশ আশা করছে, রিমান্ডে দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হত্যার পুরো চিত্র উঠে আসবে।
