তত্বাবধায়ক সরকার হাইকোর্ট
পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪০, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
হাইকোর্টের দেওয়া পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শিশির মনির।
২০১১ সালের ৩০ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে। রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই অনুমোদন দেন। সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে ৫০ করা হয়, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রক্ষমতা অসাংবিধানিকভাবে দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ হিসেবে ধরা হয় এবং সর্বোচ্চ শাস্তি আরোপের বিধান যুক্ত হয়।
এই সংশোধনী বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। হাইকোর্ট গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রায় দেন। রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিধান এবং সংবিধানের কিছু মৌলিক ধারাকে স্থগিত করা বা সংশোধন অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ফলে সংবিধানের প্রস্তাবনা ও কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধনে গণভোটের বিধান পুনঃপ্রকাশ পায়।
রায়ের বিরুদ্ধেই সুজন সম্পাদকসহ চারজন ব্যক্তি লিভ টু আপিল করেন। অন্য তিন ব্যক্তি হলেন এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। মোফাজ্জল হোসেন এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও আলাদা লিভ টু আপিল দায়ের করেন।
বুধবার প্রথম দিনে শুনানি করেন বদিউল আলম মজুমদারসহ চারজনের আইনজীবী ড. শরীফ ভুঁইয়া।
