বিহারে এনডিএ জোটের ভূমিধস জয়, পশ্চিমবঙ্গে নজর মোদির
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:৫৫, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩৪, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
বিহারের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির শীর্ষ নেতা নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বিহারের এই জয়ই পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিজয়ের পথ সুগম করবে।
বিহার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রতিবেশী রাজ্য। সেখানে বিধানসভার মোট আসন ২৪৩টি। ভোটগ্রহণ হয়েছে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে, ৬ নভেম্বর ১২১টি আসনে ভোট হয়, যেখানে ৬৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। দ্বিতীয় ধাপে, ১১ নভেম্বর ১২২টি আসনে ভোট হয়, সেখানে ভোট পড়ে ৬৮ শতাংশের বেশি। দুই ধাপ মিলিয়ে মোট ভোটদানের হার ছিল প্রায় ৬৭ শতাংশ।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগণনা শুরু হয় এবং রাতে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বিজেপি–জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং কংগ্রেস–রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মধ্যে।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ২৪২টি আসনের মধ্যে এনডিএ জোট জয়ী হয়েছে ২০২টি আসনে। অপরদিকে বিরোধী মহাজোট পেয়েছে মাত্র ৩৫টি আসন।
জোটের শীর্ষ দল বিজেপি পেয়েছে ৮৯টি আসন। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) পেয়েছে ৮৫টি আসন। চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি জয় পেয়েছে ১৯টি আসনে, আর জিতেন রাম মাঝির আওয়াম মোর্চা পেয়েছে ৫টি আসন।
এবারের নির্বাচনে বিশেষভাবে আলোচিত ছিল ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি। কিন্তু ফলাফলে দেখা যায় দলটির একটিও আসন নেই—নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে।
অন্যদিকে ‘অপ্রত্যাশিত সাফল্য’ দেখিয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)—তারা পেয়েছে ৫টি আসন।
ফল প্রকাশের পর এক বার্তায় এনডিএকে অভিনন্দন জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘু তোষণের কৌশল নিয়েছিল, কিন্তু বিহারের নারী ও তরুণরা এনডিএ-কে জয়ী করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “গঙ্গা নদী বিহার থেকে বাংলায় প্রবাহিত হয়। বিহারের এই বিজয় পশ্চিমবঙ্গে আমাদের বিজয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছে। বাংলার ভাই-বোনদের আশ্বস্ত করছি—আপনাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুর্নীতির শাসন উপড়ে ফেলব।”
