জম্মু-কাশ্মীরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৭, আহত ২৭
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:৫৩, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৯:১৪, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে থানায় জব্দ করা বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক একযোগে বিস্ফোরিত হয়ে ৭ জন নিহত এবং অন্তত ২৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে শ্রীনগরের নওগাম থানায় ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর—এনডিটিভি।
নিহতদের অধিকাংশই পুলিশ সদস্য ও ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তা। বিস্ফোরক পরীক্ষা করার জন্য তারা থানায় অবস্থান করছিলেন। নিহতদের মধ্যে শ্রীনগর প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা এবং একজন নায়েব তহসিলদারও রয়েছেন।
আহতদের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯২ বেস হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এসকেআইএমএস)–এ ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর এলাকাটি ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী, এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জইস-ই-মোহাম্মদ সশস্ত্র গোষ্ঠীর পোস্টার লাগানোর একটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা আগে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল। ওই পোস্টারের সূত্র ধরে কয়েকজন চিকিৎসকসহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের দাবি করা হয়।
গ্রেফতারদের একজন, ডা. আদিল আহমেদ রাথের, গত অক্টোবরে আটক হন। তাকে গ্রেফতারের পর তদন্তে এমন একটি নেটওয়ার্কের সন্ধান মেলে, যারা পূর্বে দিল্লিতে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল।
রাথের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আরেক চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল–এর নাম উঠে আসে। ফারিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজে কর্মরত শাকিলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানের পর শাকিল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক ডা. শাহীন সাঈদ–কে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং বিস্ফোরণের উৎস ও প্রকৃতি নির্ণয়ে ফরেনসিক টিম কাজ করছে।
