গণভোটের ফাঁদে দেশকে ঠেলে দিলে পালানোর হেলিকপ্টারও পাবে না: যুব ইউ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০০:০৪, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
ফাইল ছবি
জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণকে “সঙ্কট সমাধানে ব্যর্থ” ও “সাম্রাজ্যবাদী প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নের নকশা” হিসেবে আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু এক যৌথ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তবর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে মোহাম্মদ ইউনুসের নাম ঘোষণার সময়ই যুব ইউনিয়ন এটিকে সাম্রাজ্যবাদ-তোষণ ও মৌলবাদীদের ছত্রচ্ছায়ায় দেশকে ঠেলে দেওয়ার সূচক হিসেবে দেখেছিল। “আজ সেই আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে,” বলেন তারা।
প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একইসঙ্গে আয়োজনের প্রস্তাবকে “অসাংবিধানিক, অবাস্তব এবং ভোটারদের সাথে সরাসরি প্রতারণা” বলে উল্লেখ করে যুব ইউনিয়ন। তারা যুক্তি দেয়, বহু বিষয় নিয়ে একই দিনে হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে জনমত গ্রহণ কার্যত অসম্ভব; এতে প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়—বাংলাদেশের বাস্তবতায় উচ্চকক্ষ স্থাপনের প্রস্তাব অপ্রয়োজনীয়, ব্যয়বহুল এবং প্রশাসনিক সঙ্কট সৃষ্টির ঝুঁকিপূর্ণ। সংবিধান সংশোধন বা কাঠামো নির্ধারণের একমাত্র স্থান সার্বভৌম সংসদ; উপদেষ্টা পরিষদ নয়।
এ ছাড়া পতেঙ্গার লালদিয়ায় কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও ৩০ বছরের লিজ চুক্তির উদ্যোগকে “জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও সরকারের এখতিয়ার বহির্ভূত সিদ্ধান্ত” বলে আখ্যা দেয় যুব ইউনিয়ন। তারা অভিযোগ করে, জনগণের সমাবেশ-রোডমার্চে স্পষ্ট আপত্তি জানানো সত্ত্বেও সরকার সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ রক্ষায় অটল রয়েছে।
বিবৃতির শেষাংশে যুব ইউনিয়ন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে “অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট নির্বাচন-তারিখ ঘোষণা করে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে সাম্রাজ্যবাদী ও মৌলবাদী প্রেসক্রিপশনের জিকির তুলে উপদেষ্টারা পালানোর জন্য আমেরিকান হেলিকপ্টারও খুঁজে পাবে না।”
