রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

| ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

ট্রাভেল এজেন্সি অধ্যাদেশ ২৫ নিয়ে উদ্বেগ আটাবের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০০:৩৪, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

ট্রাভেল এজেন্সি অধ্যাদেশ ২৫ নিয়ে উদ্বেগ আটাবের

ছবি : আটাব

ট্রাভেল এজেন্সি খাতের স্বার্থ রক্ষায় ট্রাভেল এজেন্সি নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ–২০২৫ (খসড়া)–এর কয়েকটি ধারা বাতিলের দাবি তুলেছেন এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর সাধারণ সদস্যরা। তাদের অভিযোগ—নতুন আইন ব্যবসাবান্ধব নয়, বরং শিল্পকে দুর্বল করতে একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে হাজারো উদ্যোক্তা এবং লাখো মানুষের জীবিকা।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল ভিক্টরির সামনে ব্যানার হাতে মানববন্ধনে অংশ নেন আটাবের শতাধিক সাধারণ সদস্য। এ সময় তারা স্লোগান তুলেন—“যে আইন জীবিকা কেড়ে নেয়, তা জনগণের জন্য নয়”, “বিটুবি বন্ধ নয়, সমাধান চাই”, “আমরা ভ্যাট দেই, ট্যাক্স দেই—তবু ব্যবসা বন্ধের আইন কেন?”, “ট্রাভেল এজেন্সি বাঁচার আইন চাই”, “সব এজেন্সির জন্য টিকিট উন্মুক্ত করতেই হবে।”

মানববন্ধনে উপস্থিত সদস্যরা বলেন, খসড়া আইনের কয়েকটি ধারা দেশের ট্রাভেল ট্রেডের জন্য “চরম ক্ষতিকর”।
বিশেষত—অফলাইন ট্রাভেল এজেন্সির জন্য ১০ লাখ টাকা জামানত বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব

  •  ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে
  •  অধিকাংশ এমএসএমই ট্রাভেল এজেন্সির পক্ষে ব্যাংকে ১০ লাখ টাকা জামানত রাখা অসম্ভব
  •  ব্যবসা পরিচালনা অস্বাভাবিকভাবে কঠিন হয়ে পড়বে

এক এজেন্সির সঙ্গে অন্য এজেন্সির টিকিট ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধের প্রস্তাব

  •  যাত্রী সেবা ব্যাহত হবে
  • ছোট-মাঝারি এজেন্সিগুলো টিকিট সোর্সিং করতে পারবে না
  •  বেকারত্ব বাড়ার আশঙ্কা

জেল-জরিমানা বাড়ানোর প্রস্তাব– প্রশাসনিক হয়রানি ও অপ্রয়োজনীয় চাপ বাড়বে ও  নিরপরাধ কেউ যাতে শাস্তির মুখে না পড়ে, সে নিশ্চয়তা নেই।

তারা বলেন, “বাংলাদেশের ট্রাভেল ও ট্যুরিজম খাত এমনিতেই কঠিন সময় পার করছে। এই আইনের বিতর্কিত ধারা কার্যকর হলে হাজারো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে, কর্মসংস্থান নেমে আসবে তলানিতে।”

সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা অভিযোগ করেন, বর্তমান সময়ে ট্রাভেল ট্রেডের বড় সংকটের মুহূর্তেও শক্তিশালী আটাব কমিটি নেই।

তারা দাবি করেন—একটি বিশেষ সিন্ডিকেট ইচ্ছাকৃতভাবে আটাব কমিটি বাতিল করে সংগঠনকে দুর্বল করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে।এর ফলাফল পুরো শিল্পের জন্য “মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে” বলে মনে করেন উপস্থিত নেতারা।

আটাব সদস্যরা আরও বলেন—অনলাইন ট্রাভেল এজেন্টদের অনিয়মের কারণে অফলাইন এজেন্সিগুলোর ওপর অকারণে চাপ বাড়ানো হচ্ছে।

তাদের প্রস্তাব—অনিয়মকারী অনলাইন এজেন্টদের জন্য আলাদা শাস্তির ধারা করা যেতে পারে।কিন্তু নিরপরাধ ট্রাভেল এজেন্টদের যেন আইনের অপব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত না হতে হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা সরকারের প্রতি দাবি জানান—খসড়া আইনের বিতর্কিত ধারা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

উদ্যোক্তা, শিল্প মালিক ও পেশাজীবীদের সঙ্গে আলোচনা না করে আইন চূড়ান্ত করা যাবে না।

জনগণের কর্মসংস্থান ও ট্রাভেল খাতের উন্নয়ন বিবেচনায় অংশগ্রহণমূলক ও ব্যবসায়বান্ধব আইন প্রণয়ন জরুরি।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ। তিনি বলেন,“সরকারের সর্বোচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার স্বার্থবিরোধী ধারাগুলো অবশ্যই সংশোধন করতে হবে। খাতের যে বাধাসমূহ রয়েছে, তা দ্রুত দূর করে উদ্যোক্তাদের টিকে থাকার পথ সুগম করতে হবে।”এ সময় সাবেক মহাসচিব আসফিয়া জান্নাত সালেহসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বৃহস্পতিবার জানান, দেশের বিমান পরিবহণ ও ভ্রমণ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে—বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন অধ্যাদেশ–২০২৫।এই দুটি খসড়া উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করেছে।তবে ট্রেডহোল্ডারদের অভিযোগ—এই উদ্যোগ বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এগোনো হয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মিছিল
আসিফ আকবরের ‘ফুটবল বিদ্বেষী’ বক্তব্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন
বিশ্বমঞ্চের লাইমলাইট চুরি করেছেন ঐশ্বরিয়া রাই একাই…
তারেক রহমান ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত হবে
সীতাকুণ্ডে ঝোপের ভেতর পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩ পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করল র‌্যাব-৭
আমরা ইউনূসের সনদ রিজেক্ট করেছি। আমরা জনতার সনদ তৈরি করব : সেলিম
রাজধানীতে নাশকতার প্রস্তুতি, নিষিদ্ধ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
সরকার দরদ দেখিয়েছে, দায় দেখায়নি’ — নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমল, বিনিয়োগকারীদের মনে অনিশ্চয়তা
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন: ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধনের সময় ৪ সপ্তাহ
জেনেভা ক্যাম্পে গোপন কারখানা থেকে ৩৫ ককটেল উদ্ধার
কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে কয়েদির মৃত্যু
বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই নিশ্চিত করল পাকিস্তান
শয্যাশায়ী ধর্মেন্দ্রর ভিডিও ফাঁস তীব্র ক্ষোভে অমিতাভ–জয়া বচ্চন
হাসিনার রায় ঘোষণায় বিশৃঙ্খলা হলে দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর—আমির খসরু
রঙ্গনার ফুটেজ ফাঁস: ক্ষুব্ধ শাবনূর
‘তিন উপদেষ্টা সঠিক নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছেন’—অপসারণের দাবিতে ডা. তাহের
ক্যালিফোর্নিয়ার নতুন ভোটিং মানচিত্রে ‘ডেমোক্র্যাট সুবিধা’ মামলা করল ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট
একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক এরশাদ হালিম আদালতে চালান
সুদান সংকট নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ বাড়ছে, আল-ফাশির ঘটনায় তদন্তের দাবি তীব্র