ভারতসহ ৮ দেশের ৩২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮:০৩, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
আটটি দেশের মোট ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।ছবি:মিলেনিয়াম পোস্ট
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতসহ অন্তত আটটি দেশের মোট ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ইরানের সামরিক সক্ষমতা সীমিত করার চেষ্টাই আরও জোরালো হলো বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল ইরান (ওএফএসি), সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), তুরস্ক, চীন, হংকং, ভারত, জার্মানি ও ইউক্রেনে অবস্থিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।
মার্কিন পক্ষের দাবি, এই নেটওয়ার্কগুলো ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মানববিহীন ড্রোন (UAV) উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে আসছে। ওএফএসি এর সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই সাপ্লাই লাইনগুলো ইরানের আক্রমণাত্মক সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।’
ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করে তেহরান বারবার জানিয়ে আসছে যে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে’ পরিচালিত হয়। একইসঙ্গে তারা দাবি করেছে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিও ‘শান্তিপূর্ণ ও আন্তর্জাতিক আইনসম্মত।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের অভিযোগ তুলে ইরান বলছে, এই হামলাগুলো ‘আন্তর্জাতিক আইন ও সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’ একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কিছু ইস্যুতে পরোক্ষ আলোচনা চললেও মাঠের বাস্তবতা বিপরীত ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা—বিশেষত ভারতে অবস্থিত একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম যুক্ত হওয়া—দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতেও নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টিতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
