রাশিয়ার ‘পোসেইডন’ টর্পেডোর সফল পরীক্ষা
পারমাণবিক সুনামির হুমকিতে কাঁপছে পশ্চিমা বিশ্ব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮:২০, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়া আবারও বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে তাদের নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক অস্ত্র প্রদর্শনে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার ঘোষণা দিয়েছেন— রাশিয়া সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ‘সুপার টর্পেডো’ ‘পোসেইডন’।
এই টর্পেডোকে সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকূলীয় অঞ্চলে ‘তেজস্ক্রিয় সুনামি’ সৃষ্টি করার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র। ন্যাটো একে কোডনেম দিয়েছে ‘ক্যানিয়ন’।
মস্কোর একটি সামরিক হাসপাতালে ইউক্রেন যুদ্ধে আহত সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পুতিন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো সাবমেরিন থেকে পোসেইডন উৎক্ষেপণ এবং এর পারমাণবিক শক্তি চালিত ইউনিট সক্রিয় করতে আমরা সফল হয়েছি। পৃথিবীতে এমন কিছু আর নেই— একে আটকানো অসম্ভব।’
রুশ প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গেছে, এই টর্পেডোর পরিসর প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার এবং গতি ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্য ২০ মিটার, ব্যাস ১.৮ মিটার, ওজন ১০০ টন। পুতিনের দাবি— পোসেইডনের শক্তি এমনকি রাশিয়ার উন্নত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ‘সারমাত’-এর চেয়েও বেশি।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, পোসেইডন প্রচলিত পারমাণবিক প্রতিরোধের নিয়ম ভেঙে দিয়েছে। এতে থাকতে পারে দুটি মেগাটন ক্ষমতার ওয়ারহেড, যা একক আঘাতে উপকূলীয় শহর ধ্বংস করতে সক্ষম।
এটিকে রাশিয়ার কৌশলগত বার্তা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
পুতিনের মতে, পোসেইডন ও সাম্প্রতিক ‘বুরেভেস্তনিক’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা জোটের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থান আরও স্পষ্ট করেছে।
২১ অক্টোবর বুরেভেস্তনিক পরীক্ষা এবং ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পারমাণবিক উৎক্ষেপণ মহড়ার পর এই নতুন ঘোষণা রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন,‘পুতিনের উচিত ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করা, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষায় নয়।’
ট্রাম্প সম্প্রতি রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
