নভেম্বরেই গণভোট ও সংশোধিত আরপিও চায় ইসলামী আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৩৭, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৪৯, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
নভেম্বরে গণভোট আয়োজন, সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) কার্যকর এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্বারকলিপি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এ স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ কর্মসূচি ছিল পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের ৫ম ধাপের অংশ। স্বারকলিপিতে ইসলামী আন্দোলন একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের প্রশংসা জানায়।
স্বারকলিপিতে বলা হয়, দেশবাসী মনে করে—গণভোট ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ আইনি ও গণভিত্তিক টেকসই কাঠামো পাবে না। তাই আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করা জরুরি। দলটি স্পষ্টভাবে জানায়, গণভোটই জাতীয় ঐকমত্য ও জনগণের আস্থার একমাত্র ভিত্তি হতে পারে।
দলটি দাবি জানায়, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে কালো টাকা, পেশিশক্তি, কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির সংস্কৃতি রোধে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রয়োজন। এতে প্রতিটি ভোটের সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত হবে এবং কোয়ালিটি-সম্পন্ন সংসদ ও দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরি করা সম্ভব হবে।
ইসলামী আন্দোলন তাদের স্বারকলিপিতে জানায়, উপদেষ্টা পরিষদ ইতোমধ্যে সংশোধিত আরপিও অনুমোদন করেছে। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল এর কিছু ধারার পরিবর্তন দাবি করছে, যা ইসলামী আন্দোলনের মতে “অযৌক্তিক”। দলটির নেতারা বলেন, জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে এই সংশোধিত আরপিও পুরোপুরি কার্যকর করতে হবে।
দলটি স্মরণ করিয়ে দেয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, নভেম্বর গণভোট ও ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ৫ দফা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আন্দোলন চালাচ্ছে। এসব দাবির প্রতি দেশের রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, গবেষক ও সাধারণ নাগরিকদের ব্যাপক সমর্থন তৈরি হয়েছে।
স্বারকলিপি দেওয়ার আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত জমায়েতে সভাপতিত্ব করেন যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতেয়াজ আলম। প্রধান বক্তা ছিলেন যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা উত্তরের সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আশা প্রকাশ করেছে, নির্বাচন কমিশন জনগণের প্রত্যাশার প্রতি সম্মান দেখিয়ে এই গণদাবিগুলো গ্রহণ করবে এবং দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের অভিযাত্রায় বাস্তব পদক্ষেপ নেবে।
