ঐকমত্যে ব্যর্থ হলে প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হতে পারে: এবি পার্টি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:২১, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:২৩, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে এবং এমন পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পদত্যাগ করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আমার বাংলাদেশ (এবি)।
এ বিষয়ে পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেছেন, “আমরা আশা করি, সরকার যখন গণভোট আয়োজন করবে, তা রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে। তবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে এবং প্রফেসর ইউনূসকে পদত্যাগ করতে হতে পারে। তখন পরিস্থিতি ভয়ানক জটিল হয়ে উঠবে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে গণভোটের সময়সূচি নিয়ে মতবিরোধ রাজনৈতিক সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে। বিএনপি চায় জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হোক, অন্যদিকে জামায়াত নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের পক্ষে— যাতে জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি পায় এবং সেই অনুযায়ী নির্বাচন হয়।
এই পরিস্থিতিতে এবি পার্টি আবারও অহমিকা ও তর্কবিতর্ক পরিহার করে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মজিবুর রহমান বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারে। সংবিধান সংস্কার পরিষদকে ৯ মাসের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে— অন্যথায় প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে।”
গণভোটের সময় নির্ধারণ সরকারের বিষয়- উল্লেখ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, “সংবিধানসংশ্লিষ্ট নয় এমন প্রস্তাবগুলো অধ্যাদেশ বা অফিস আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বড় মতভেদ নেই। তবে গণভোটের দিনক্ষণ ঠিক করার দায়িত্ব সরকারেরই।”
তিনি বলেন, “সুপারিশে বলা হয়েছে— জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।”
সংবাদ সম্মেলনে পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, আনোয়ার সাদাত এবং ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানাসহ দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
